সূরা নাবা -‏النبأ‎ 

~ সুরা পরিচিতি ~

---

 

Tafsir		78:1
عَمَّ يَتَسَاءَلُونَ
এরা একে অপরকে কোন্‌ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?

 

Tafsir		78:2
عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ
মহা সংবাদ সম্পর্কে?

 

Tafsir		78:3
الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
যে সম্পর্কে তাদের মতভেদ রয়েছে।

 

Tafsir		78:4
كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
হাঁ, হাঁ শিগ্‌গিরই তারা জেনে যাবে;

 

Tafsir		78:5
ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
অতঃপর, হাঁ, হাঁ শিগ্‌গিরই তারা জানতে পারবে।

 

Tafsir		78:6
أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
আমি কি যমীনকে বিছানা করি নি?

 

Tafsir		78:7
وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا
এবং পাহাড়গুলোকে পেরেক?

 

Tafsir		78:8
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
এবং তোমাদের জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি,

 

Tafsir		78:9
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
এবং তোমাদের নিদ্রাকে করেছি আরাম,

 

Tafsir		78:10
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
এবং রাতকে পর্দা পরিহিত করেছি,

 

Tafsir		78:11
وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
এবং দিনকে রোজগারের জন্য বানিয়েছি,

 

Tafsir		78:12
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
এবং তোমাদের উপর সাতটা মজবুত ছাদ (আস্‌মান)প্রস্তুত করেছি,

 

Tafsir		78:13
وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
এবং সেগুলোর মধ্যে একটা অতি উজ্জ্বল প্রদীপ স্থাপন করেছি,

 

Tafsir		78:14
وَأَنزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاءً ثَجَّاجًا
এবং বর্ষণকারী মেঘ থেকে মুষলধারে বারি বর্ষণকরেছি,

 

Tafsir		78:15
لِّنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا
যাতে তা দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য এবং উদ্ভিদ,

 

Tafsir		78:16
وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا
এবং ঘন-সন্নিবিষ্ট বাগান।

 

Tafsir		78:17
إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا
নিশ্চয় ফয়সালার দিন হলো এক নির্ধারিত সময়;

 

Tafsir		78:18
يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার করা হবে, তখন তোমরা চলে আসবে দলে দলে,

 

Tafsir		78:19
وَفُتِحَتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ أَبْوَابًا
এবং আস্‌মান খোলা হবে, ফলে বহু দরজা হয়ে যাবে।

 

Tafsir		78:20
وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
এবং পাহাড়গুলো চালিত করা হবে, সুতরাং সেগুলো হয়ে যাবে মরীচিকা, যা দূর থেকে পানি বলে ভ্রমে ফেলবে।

 

Tafsir		78:21
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
নিশ্চয় দোযখ ওঁৎ পেতে রয়েছে,

 

Tafsir		78:22
لِّلطَّاغِينَ مَآبًا
উদ্ধতের ঠিকানা।

 

Tafsir		78:23
لَّابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا
তারা তাতে যুগ যুগ ধরে থাকবে;

 

Tafsir		78:24
لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
(তারা) তাতে কোন প্রকার ঠাণ্ডার আস্বাদ পাবে না এবং না কোন পানীয়-

 

Tafsir		78:25
إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
কিন্তু (পাবে শুধু) ফুটন্ত পানি এবং দোযখবাসীদের জ্বলন্ত পুঁজ;

 

Tafsir		78:26
جَزَاءً وِفَاقًا
যেমন কর্ম তেমন ফল।

 

Tafsir		78:27
إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
নিশ্চয় তারা হিসাবের ভয় করতো না;

 

Tafsir		78:28
وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا
এবং তারা আমার আয়াতগুলোকে সীমাতীত অস্বীকার করেছে।

 

Tafsir		78:29
وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا
এবং আমি প্রত্যেক বস্তুকে গুনে লিখে রেখেছি।

 

Tafsir		78:30
فَذُوقُوا فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
এখন তোমরা স্বাদ গ্রহণ করো, অনন্তর আমি তোমাদের জন্য কঠিন শাস্তিকেই বর্ধিত করবো।

 

Tafsir		78:31
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
নিশ্চয় খোদাভীরুদের জন্য সাফল্যের স্থান রয়েছে;

 

Tafsir		78:32
حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا
বাগান এবং আঙ্গুরফল,

 

Tafsir		78:33
وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
এবং উঠতি যৌবনসম্পন্না সমবয়স্কা (যুবতীগণ),

 

Tafsir		78:34
وَكَأْسًا دِهَاقًا
এবং পানীয়ের পরিপূর্ণ পেয়ালাসমূহ।

 

Tafsir		78:35
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا
যার মধ্যে না কোন অনর্থক কথা শুনবে, না মিথাবাদ;

 

Tafsir		78:36
جَزَاءً مِّن رَّبِّكَ عَطَاءً حِسَابًا
পুরস্কার, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে, নিতান্তই যথেষ্ট দান;

 

Tafsir		78:37
رَّبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرَّحْمَٰنِ ۖ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
যিনি রব আস্‌মানগুলো ও যমীনের এবং যা কিছু উভয়ের মধ্যে রয়েছে (সবকিছুর), রহমান, যাঁর সাথে (কেউ) কথা বলার অধিকার রাখবে না।

 

Tafsir		78:38
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا ۖ لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَٰنُ وَقَالَ صَوَابًا
যেদিন জিবরাঈল দণ্ডায়মান হবে এবং সব ফিরিশ্‌তা সারিবদ্ধ থাকবে, (তখন) কেউ (কিছু) বলতে পারবে না, কিন্তু যাকে রহমান অনুমতি দেবেন এবং সে সঠিক কথা বলবে।

 

Tafsir		78:39
ذَٰلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ ۖ فَمَن شَاءَ اتَّخَذَ إِلَىٰ رَبِّهِ مَآبًا
ওটা সত্য দিন; এখন যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে তার রবের দিকে রাস্তা অবলম্বন করুক!

 

Tafsir		78:40
إِنَّا أَنذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنتُ تُرَابًا
আমি তোমাদেরকে এমন এক শাস্তির ভয় প্রদর্শন করছি, যা অতি নিকটে এসে পৌঁছেছে, যেদিন মানুষ দেখবে যা কিছু (কার্যাদি) তার দু’হাত অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কাফিরগণ বলবে, ‘হায়, যদি আমি কোন প্রকার মাটি হয়ে যেতাম!’