সূরা শুআরা -‏الشعراء‎ 

~ সুরা পরিচিতি ~

---

 

Tafsir		26:1
طسم
ত্বোয়া-সী----ম্মী-----ম্‌।

 

Tafsir		26:2
تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ
এগুলো উজ্জ্বল কিতাবের আয়াত।

 

Tafsir		26:3
لَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
এমন যেনো না হয় যে, আপনি আপন প্রাণ-বিনাশী হয়ে যাবেন এ দুঃখে যে, তারা ঈমান আনে নি!

 

Tafsir		26:4
إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِم مِّنَ السَّمَاءِ آيَةً فَظَلَّتْ أَعْنَاقُهُمْ لَهَا خَاضِعِينَ
যদি আমি ইচ্ছা করি তবে আসমান থেক তাদের উপর কোন নিদর্শন অবতারণ করবো, যাতে তাদের উচু উচু গ্রীবাগুলো সেটার সামনে বিনত হয়ে থেকে যাবে।

 

Tafsir		26:5
وَمَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّنَ الرَّحْمَٰنِ مُحْدَثٍ إِلَّا كَانُوا عَنْهُ مُعْرِضِينَ
এবং তাদের নিকট রাহমানের কাছ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে না, কিন্তু (এলে) তা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।

 

Tafsir		26:6
فَقَدْ كَذَّبُوا فَسَيَأْتِيهِمْ أَنبَاءُ مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
অতঃপর নিশ্চয় তারা অস্বীকার করেছে; সুতরাং অবিলম্বে তাদের উপর ঠাট্টা বিদ্রূপের খবরাদি আসবে।

 

Tafsir		26:7
أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الْأَرْضِ كَمْ أَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
তারা কি পৃথিবীর দিকে তাকায় নি? আমি তাতে কতো সম্মানজনক জোড়া উদ্‌গত করেছি।

 

Tafsir		26:8
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় নিশ্চয় তাতে নিদর্শন রয়েছে; এবং তাদের অধিকাংশই ঈমান আনয়নকারী নয়।

 

Tafsir		26:9
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং নিশ্চয় আপনার রব, তিনি অবশ্য মহা সম্মানিত, দয়াময়।

 

Tafsir		26:10
وَإِذْ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰ أَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
এবং স্মরণ করুন, যখন আপনার রব মূসাকে আহ্বান করলেন (বললেন) ‘যালিম লোকদের নিকট যাও’।

 

Tafsir		26:11
قَوْمَ فِرْعَوْنَ ۚ أَلَا يَتَّقُونَ
যারা ফিরে’আউনের সম্প্রদায়, তারা কি ভয় করবে না?’

 

Tafsir		26:12
قَالَ رَبِّ إِنِّي أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ
আরয করলো, ‘হে আমার রব, আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে অস্বীকার করবে;

 

Tafsir		26:13
وَيَضِيقُ صَدْرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرْسِلْ إِلَىٰ هَارُونَ
এবং আমার বক্ষ সংকুচিত হয়ে পড়ছে আর আমার মুখ চলে না। সুতরাং হারূনকেও রসূল করো।

 

Tafsir		26:14
وَلَهُمْ عَلَيَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের একটা অভিযোগ আছে। সুতরাং আমি আশঙ্কা করছি যে, হয় তো তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে’।

 

Tafsir		26:15
قَالَ كَلَّا ۖ فَاذْهَبَا بِآيَاتِنَا ۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ
বললেন, ‘না, এমন নয়, তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শন নিয়ে যাও, আমি তোমাদের সাথে শ্রবণকারী’।

 

Tafsir		26:16
فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অতঃপর তোমরা ফির’আউনের নিকট যাও, অতঃপর তাকে বলো, ‘আমরা দু’জন তারই রসূল, যিনি সমগ্র জগতের রব,

 

Tafsir		26:17
أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
যেন তুমি আমাদের সাথে বনী ইস্রাঈলকে ছেড়ে দাও’।

 

Tafsir		26:18
قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ
সে বললো, ‘আমরা কি তোমাকে আমাদের এখানে শৈশবে লালন পালন করি নি? এবং তুমি আমাদের এখানে নিজ জীবনের কয়েক বছর অতিবাহিত করেছো;

 

Tafsir		26:19
وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ الْكَافِرِينَ
এবং তুমি করেছো স্বীয় এই কাজ, যা তুমিই করেছো আর তুমি অকৃতজ্ঞ ছিলে’।

 

Tafsir		26:20
قَالَ فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ
মূসা বললেন, ‘আমি ওই কাজ করেছি যখন আমার নিকট পথের (পরিণামের) খবর ছিলো না।

 

Tafsir		26:21
فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكْمًا وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُرْسَلِينَ
অতঃপর আমি তোমাদের এখান থেকে বের হয়ে গিয়েছি যখন তোমাদেরকে ভয় করেছি; অতঃপর আমাকে আমার রব হুকুম দান করেছেন এবং আমাকে পয়গাম্বরদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

 

Tafsir		26:22
وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ
এবং এটা এমন এক অনুগ্রহ, যেটার (কথা উল্লেখ করে) তুমি আমাকে খোটা দিচ্ছো (তা হচ্ছে এই) যে, তুমি বনী ইস্রাঈলকে গোলামে পরিণত করে রেখেছো!’

 

Tafsir		26:23
قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ
ফির’আউন বললো, ‘এবং সমগ্র জগতের রব কি?’

 

Tafsir		26:24
قَالَ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ
মূসা বললেন, ‘রব আসমানসমূহ ও যমীণের এবং যা কিছু সেগুলোর মাঝখানে রয়েছে, যদি তোমাদের দৃঢ় বিশ্বাস থাকে’।

 

Tafsir		26:25
قَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ أَلَا تَسْتَمِعُونَ
আপন আশপাশের লোকজনকে বললো, ‘তোমরা কি মনোযোগ সহকারে শুনছো না?’

 

Tafsir		26:26
قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
মূসা বললেন, ‘রব তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতা ও পিতামহদের’।

 

Tafsir		26:27
قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ
বললো, ‘তোমাদের এ রসূল, যিনি তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছেন, অবশ্যই বিবেকবান নয়’।

 

Tafsir		26:28
قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
মূসা বললেন, ‘রব পূর্ব ও পশ্চিমের এবং যা কিছু সে দু’টির মধ্যখানে রয়েছে; যদি তোমাদের বিবেক থাকে’।

 

Tafsir		26:29
قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَٰهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ
বললো, ‘যদি আমি ব্যতীত অন্য কাউকে তুমি খোদা স্থির করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারারুদ্ধ করবো’।

 

Tafsir		26:30
قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَيْءٍ مُّبِينٍ
বললেন, ‘তবুও কি, যদি আমি তোমার নিকট কোন সুস্পষ্ট বস্তু নিয়ে আসি?’

 

Tafsir		26:31
قَالَ فَأْتِ بِهِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
বললো, ‘তাহলে নিয়ে এসো যদি সত্যবাদী হও’।

 

Tafsir		26:32
فَأَلْقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُّبِينٌ
অতঃপর মূসা আপন লাঠি রাখলেন। তৎক্ষণাৎ সেটা প্রত্যক্ষ অজগর হয়ে গেলো।

 

Tafsir		26:33
وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ
এবং আপন হাত বের করলেন। সুতরাং তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের দৃষ্টিতে ঝকমক করতে লাগলো।

 

Tafsir		26:34
قَالَ لِلْمَلَإِ حَوْلَهُ إِنَّ هَٰذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ
সে তার আশেপাশের নেতৃবর্গকে বললো, নিশ্চয় ইনি সুদক্ষ যাদুকর;

 

Tafsir		26:35
يُرِيدُ أَن يُخْرِجَكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ
তিনি চাচ্ছেন তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে আপন যাদুর বলে; এখন তোমাদের পরামর্শ কী?’

 

Tafsir		26:36
قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَابْعَثْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
তারা বললো, ‘তাকে ও তার ভাইকে রুখে রাখো এবং শহরগুলোতে সংগ্রাহকদের পাঠাও,

 

Tafsir		26:37
يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ
যেন তারা তোমার নিকট নিয়ে আসে প্রত্যেক বড় জ্ঞানী যাদুকর’।

 

Tafsir		26:38
فَجُمِعَ السَّحَرَةُ لِمِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
অতঃপর একত্র করা হলো যাদুকরদেরকে একটা নির্দিষ্ট দিনের প্রতিশ্রুতির উপর;

 

Tafsir		26:39
وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلْ أَنتُم مُّجْتَمِعُونَ
এবং লোকদেরকে বলা হলো, ‘তোমরা কি সমবেত হবে?

 

Tafsir		26:40
لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِن كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
হয় তো আমরা ওই যাদুকরদেরই অনুসরণ করবো যদি তারা বিজয়ী হয়’।

 

Tafsir		26:41
فَلَمَّا جَاءَ السَّحَرَةُ قَالُوا لِفِرْعَوْنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِن كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ
অতঃপর যখন যাদুকরগণ এলো, তখন তারা ফির’আউনকে বললো, ‘আমরা কি কিছু পারিশ্রমিক পাবো যদি আমরা বিজয়ী হই?’

 

Tafsir		26:42
قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ إِذًا لَّمِنَ الْمُقَرَّبِينَ
সে বললো, হাঁ, এবং তখন তোমরা আমার ঘনিষ্ঠ হয়ে যাবে।

 

Tafsir		26:43
قَالَ لَهُم مُّوسَىٰ أَلْقُوا مَا أَنتُم مُّلْقُونَ
মূসা তাদেরকে বললেন, ‘নিক্ষেপ করো যা তোমাদের নিক্ষেপ করার আছে’।

 

Tafsir		26:44
فَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ
অতঃপর তারা আপন রশি ও লাঠিগুলো ফেলল আর বললো, ফির’আউনের সম্মানের শপথ! নিশ্চয় বিজয় আমাদেরই’।

 

Tafsir		26:45
فَأَلْقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ
অতঃপর মূসা আপন লাঠি ফেললেন। তখনই তা তাদের কৃত্রিম সৃষ্টিগুলোকে গ্রাস করতে লাগলো।

 

Tafsir		26:46
فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ
তখন সাজদাবনত হয়ে পড়লো যাদুকরগণ।

 

Tafsir		26:47
قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
তারা বললো, ‘আমরা ঈমান আনলাম তারই উপর যিনি সমগ্র জগতের রব;

 

Tafsir		26:48
رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ
যিনি মূসা ও হারূনের রব’।

 

Tafsir		26:49
قَالَ آمَنتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ ۖ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَ ۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ
ফির’আউন বললো, ‘তোমরা কি তার উপর ঈমান আনলে আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেওয়ার পূর্বে? নিশ্চয় সে তোমাদের বড়জন, যে তোমাদের যাদু শিক্ষা দিয়েছে। সুতরাং এখনই জেনে নেবে। আমি শপথ করে বলছি। নিশ্চয় আমি তোমাদের এক দিকের হাত ও বিপরীত দিকের পা কর্তন করবো এবং তোমাদের সবাইকে শূলবিদ্ধ করবো’।

 

Tafsir		26:50
قَالُوا لَا ضَيْرَ ۖ إِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
তারা বললো, ‘কোন ক্ষতি নেই। আমরা আপন রবের দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।

 

Tafsir		26:51
إِنَّا نَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا أَن كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ
আমাদের আশা যে, আমাদের রব আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেবেন এ জন্য যে, আমরা সবার পূর্বে ঈমান এনেছি’।

 

Tafsir		26:52
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِي إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
এবং আমি মূসার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি, ‘রাতারাতি আমার বান্দাদের নিয়ে বের হও! নিশ্চয় তোমাদের পিছু ধাওয়া করা হবেই’।

 

Tafsir		26:53
فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
অতঃপর ফির’আউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদের প্রেরণ করলো-

 

Tafsir		26:54
إِنَّ هَٰؤُلَاءِ لَشِرْذِمَةٌ قَلِيلُونَ
‘এসব লোক ক্ষুদ্র একটা দল।

 

Tafsir		26:55
وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَائِظُونَ
এবং নিশ্চয় তারা আমাদের সবার অন্তরে জ্বালা দিচ্ছে;

 

Tafsir		26:56
وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَاذِرُونَ
এবং নিশ্চয় আমরা সবাই সদা সতর্ক’।

 

Tafsir		26:57
فَأَخْرَجْنَاهُم مِّن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
অতঃপর আমি তাদেরকে বের করে এনেছি বাগান ও প্রস্রবণগুলো থেকে;

 

Tafsir		26:58
وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
এবং ধন-ভাণ্ডার ও উৎকৃষ্ট বাসস্থানগুলো থেকে;

 

Tafsir		26:59
كَذَٰلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
আমি অনুরূপই করেছি এবং তাদের উত্তরাধিকারী করেছি বনী ইস্রাঈলকে।

 

Tafsir		26:60
فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ
অতঃপর ফির’আউনীগণ তাদের পিছু ধাওয়া করলো সূর্যোদয় কালে।

 

Tafsir		26:61
فَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَابُ مُوسَىٰ إِنَّا لَمُدْرَكُونَ
অতঃপর যখন মুখোমুখি হলো উভয় দল, তখন মূসার সাথীরা বললো, ‘তারা তো আমাদেরক ধরে ফেললো!’

 

Tafsir		26:62
قَالَ كَلَّا ۖ إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
মূসা বললেন, ‘এমনই নয়। নিশ্চয় আমার রব আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে এখন পথ প্রদান করছেন’।

 

Tafsir		26:63
فَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنِ اضْرِب بِّعَصَاكَ الْبَحْرَ ۖ فَانفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ
অতঃপর আমি মূসাকে ওহী করলাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত করো’। সুতরাং তখনই সমুদ্র বিভক্ত হয়ে গেলো; অতঃপর প্রত্যেক অংশ (এমনই) হয়ে গেলো যেমন বিশাল পাহাড়।

 

Tafsir		26:64
وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ الْآخَرِينَ
এবং আমি সেখানে অপর দলটিকে উপনীত করলাম।

 

Tafsir		26:65
وَأَنجَيْنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُ أَجْمَعِينَ
এবং আমি রক্ষা করলাম মূসা ও তার সমস্ত সাথীকে।

 

Tafsir		26:66
ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর অপর দলটাকে নিমজ্জিত করেছি।

 

Tafsir		26:67
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এর মধ্যে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে; এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান ছিলো না।

 

Tafsir		26:68
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং নিশ্চয় তোমাদের রব; তিনিই পরম দয়ালু, সম্মানিত।

 

Tafsir		26:69
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ إِبْرَاهِيمَ
এবং তাদের নিকট পাঠ করো ইব্রাহীমের সংবাদ;

 

Tafsir		26:70
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا تَعْبُدُونَ
যখন সে আপন পিতা ও আপন সম্প্রদায়কে বললো, ‘তোমরা কিসের পূজা করছো?’

 

Tafsir		26:71
قَالُوا نَعْبُدُ أَصْنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عَاكِفِينَ
তারা বললো, ‘আমরা প্রতিমাগুলোর পূজা করছি এবং সেগুলোর সামনে আসন পেতে রয়েছি’।

 

Tafsir		26:72
قَالَ هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ
বললেন, ‘সেগুলো কি তোমাদের কথা শুনতে পায়, যখন তোমরা ডাকো?

 

Tafsir		26:73
أَوْ يَنفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ
অথবা তোমাদের উপকার কিংবা অপকার করে?’

 

Tafsir		26:74
قَالُوا بَلْ وَجَدْنَا آبَاءَنَا كَذَٰلِكَ يَفْعَلُونَ
তারা বললো, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষকে এরূপই করতে পেয়েছি’।

 

Tafsir		26:75
قَالَ أَفَرَأَيْتُم مَّا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
বললেন, ‘তোমরা কি দেখছো এ গুলোকে, যেগুলোর পূজা করছো-

 

Tafsir		26:76
أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمُ الْأَقْدَمُونَ
তোমরা ও তোমাদের পূর্বেকার পিতৃ-পুরুষরা?

 

Tafsir		26:77
فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّي إِلَّا رَبَّ الْعَالَمِينَ
নিশ্চয় এগুলো সবই আমার শত্রু, জগতসমূহের রব ব্যতীত;

 

Tafsir		26:78
الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ
তিনিই, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং তিনি আমাকে পথ প্রদান করবেন।

 

Tafsir		26:79
وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ
এবং তিনিই, যিনি আমাকে আহার করান এবং পান করান;

 

Tafsir		26:80
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
এবং যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন;

 

Tafsir		26:81
وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ
এবং তিনি মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আমাকে পুনর্জীবিত করবেন;

 

Tafsir		26:82
وَالَّذِي أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ
এবং তিনিই, যার প্রতি আমার আশা যে, আমার অপরাধসমূহ ক্বিয়ামত দিবসে ক্ষমা করবেন।

 

Tafsir		26:83
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
হে আমার অব! আমাকে হুকুম দান করো এবং আমাকে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করে দাও যারা তোমার খাস নৈকট্যের উপযোগী;

 

Tafsir		26:84
وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ
এবং আমার সত-প্রসিদ্ধি প্রতিষ্ঠিত রাখো পরবর্তীদের মধ্যে;

 

Tafsir		26:85
وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
এবং আমাকে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করো, যারা সুখময় বাগান সমূহের উত্তরাধিকারী;

 

Tafsir		26:86
وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ
এবং আমার বাবাকে ক্ষমা করো, নিশ্চয় সে পথভ্রষ্ট;

 

Tafsir		12:87
وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ
এবং আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যেদিন সবাই পুনরুত্থিত হবে;

 

Tafsir		12:88
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
যেদিন না ধন-সম্পদ কাজে আসবে না পুত্রগণ;

 

Tafsir		26:89
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
কিন্তু ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহ্‌র সম্মুখে হাযির হয়েছে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে।

 

Tafsir		26:90
وَأُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ
এবং নিকটবর্তী করা হবে জান্নাতকে পরহেয্‌গারদের জন্য।

 

Tafsir		26:91
وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِلْغَاوِينَ
এবং প্রকাশ করা হবে দোযখকে পথভ্রষ্টদের জন্য;

 

Tafsir		26:92
وَقِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
এবং তাদেরকে বলা হবে, ‘কোথায় তারা, যাদের তোমরা পূজা করতে,

 

Tafsir		26:93
مِن دُونِ اللَّهِ هَلْ يَنصُرُونَكُمْ أَوْ يَنتَصِرُونَ
আল্লাহ্‌ ব্যতীত? তারা কি তোমাদের সাহায্য করবে, অথবা প্রতিশোধ নেবে?’

 

Tafsir		26:94
فَكُبْكِبُوا فِيهَا هُمْ وَالْغَاوُونَ
অতঃপর অধোমুখী করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে তাদেরকে এবং সমসত পথভ্রষ্টকে;

 

Tafsir		26:95
وَجُنُودُ إِبْلِيسَ أَجْمَعُونَ
এবং ইবলীসের বাহিনীর সকলকেও।

 

Tafsir		26:96
قَالُوا وَهُمْ فِيهَا يَخْتَصِمُونَ
তারা বলবে এবং তারা তাতে পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হবে,

 

Tafsir		26:97
تَاللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
‘আল্লাহ্‌র শপথ! নিশ্চয় আমরা সুস্পষ্ট ভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম,

 

Tafsir		26:98
إِذْ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
যখন (আমরা) তোমাদেরকে সমস্ত জাহানের রবের সমকক্ষ স্থির করতাম।

 

Tafsir		26:99
وَمَا أَضَلَّنَا إِلَّا الْمُجْرِمُونَ
এবং আমাদেরকে অপরাধীগণই পথভ্রষ্ট করেছে।

 

Tafsir		26:100
فَمَا لَنَا مِن شَافِعِينَ
সুতরাং এখন আমাদের কোন সুপারিশোকারী নেই;

 

Tafsir		26:101
وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٍ
এবং না কোন সহানুভূতিশীল বন্ধু।

 

Tafsir		26:102
فَلَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
সুতরাং কোন মতে যদি আমাদের ফিরে যাবার সুযোগ ঘটতো! তাহলে আমরা মুসলমান হয়ে যেতাম’।

 

Tafsir		26:103
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে ঈমানদার ছিলো না।

 

Tafsir		26:104
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এএবং নিশ্চয় আপনার রব, তিনিই পরম সম্মানিত, দয়ালু।

 

Tafsir		26:105
كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ الْمُرْسَلِينَ
নূহের সম্প্রদায় পয়গাম্বরগণকে অস্বীকার করেছে,

 

Tafsir		26:106
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদেরকে তাদেরই স্বগোত্রীয় লোক নূহ বলেছিলো, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?

 

Tafsir		26:107
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র প্রেরিত, বিশ্বস্ত হই;

 

Tafsir		26:108
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।

 

Tafsir		26:109
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এবং আমি তোমাদের নিকট এর উপর কোন প্রতিদান চাই না; আমার প্রতিদান তো তারই নিকট, যিনি সমগ্র জাহানের রব।

 

Tafsir		26:110
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো’।

 

Tafsir		26:111
قَالُوا أَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْأَرْذَلُونَ
তারা বললো, ‘আমরা কি তোমারই উপর ঈমান নিয়ে আসবে, অথচ তোমার সাথে ইতর লোকেরা রয়েছে?’

 

Tafsir		26:112
قَالَ وَمَا عِلْمِي بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
বললেন, ‘আমি কি জানি তাদের কাজ কি?’

 

Tafsir		26:113
إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّي ۖ لَوْ تَشْعُرُونَ
তাদের হিসাব-নিকাশ তো আমার রবের নিকটই, যদি তোমাদের অনুভূতি থাকে।

 

Tafsir		26:114
وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ
এবং আমি মুসলমানদেরকে দূরে সরিয়ে দেবার নই।

 

Tafsir		26:115
إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারীই’।

 

Tafsir		26:116
قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا نُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمَرْجُومِينَ
তারা বললো, ‘হে নূহ! যদি তুমি নিবৃত্ত না হও, তবে অবশ্যই তোমার প্রতি পাথর বর্ষণ করা হবে;’।

 

Tafsir		26:117
قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوْمِي كَذَّبُونِ
আরয করলো, ‘হে আমার রব! আমার সম্প্রদায় আমাকে অস্বীকার করেছে।

 

Tafsir		26:118
فَافْتَحْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
সুতরাং তুমি আমার মধ্যে ও তাদের মধ্যে পূর্ণ মীমাংসা করে দাও এবং আমাকে ও আমার সঙ্গেকার মুসলমানদের মুক্তি দাও’।

 

Tafsir		26:119
فَأَنجَيْنَاهُ وَمَن مَّعَهُ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
অতঃপর আমি রক্ষা করেছি তাকে ও তার সাথীদেরকে ভর্তি নৌযানের মধ্যে।

 

Tafsir		26:120
ثُمَّ أَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبَاقِينَ
অতঃপর এর পরে আমি অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জিত করেছি।

 

Tafsir		26:121
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় তাতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান ছিলো না।

 

Tafsir		26:122
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং নিশ্চয় আপনার রবই পরম সম্মানিত, দয়ালু।

 

Tafsir		26:123
كَذَّبَتْ عَادٌ الْمُرْسَلِينَ
‘আদ সম্প্রদায় রসূলগণকে অস্বীকার করেছে;

 

Tafsir		26:124
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদেরকে তাদেরই স্বগোত্রীয় লোক হূদ বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করো না?

 

Tafsir		26:125
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র বিশ্বস্ত রসূল হই;

 

Tafsir		26:126
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।

 

Tafsir		26:127
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এবং আমি এর উপর তোমাদের নিকট প্রতিদান চাই না; আমারপ্রতিদান তো তারই নিকট, যিনি সমগ্র জগতের রব।

 

Tafsir		26:128
أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ آيَةً تَعْبَثُونَ
তোমরা কি প্রত্যেক উচ্চস্থানের উপর একেকটা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছো পথচারীদের প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার জন্য?

 

Tafsir		26:129
وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ
এবং মজবুত প্রাসাদ বেছে নিছো এ আশায় যে, তোমরা চিরস্থায়ী হবে?

 

Tafsir		26:130
وَإِذَا بَطَشْتُم بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ
এবং যখনই কাউকে পাকড়াও করো তখন খুবই নির্মমভাবে পাকড়াও করে থাকো।

 

Tafsir		26:131
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো, এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।

 

Tafsir		26:132
وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ
এবং তাকে ভয় করো যিনি তোমাদের সাহায্য করেছেন ওই সমস্ত বস্তু দ্বারা যেগুলো তোমাদের জানা আছে।

 

Tafsir		26:133
أَمَدَّكُم بِأَنْعَامٍ وَبَنِينَ
তোমাদের সাহায্য করেছেন চতুষ্পদ পশু, পুত্রগণ,

 

Tafsir		26:134
وَجَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
এবং বাগানগুলো ও প্রস্রবণসমূহ দ্বারা।

 

Tafsir		26:135
إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আশঙ্কা করছি এক মহা দিবসের শাস্তির।

 

Tafsir		26:136
قَالُوا سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُن مِّنَ الْوَاعِظِينَ
তারা বললো, ‘আমাদের নিকট সমান- চাই আপনি উপদেশ দিন অথবা উপদেশদাতাদের মধ্যে নাই হোন।

 

Tafsir		26:137
إِنْ هَٰذَا إِلَّا خُلُقُ الْأَوَّلِينَ
এ’তো নয়, কিন্তু ওই পূর্ববর্তীদের রীতি;

 

Tafsir		26:138
وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
এবং আমাদের শাস্তি হবার নয়’।

 

Tafsir		26:139
فَكَذَّبُوهُ فَأَهْلَكْنَاهُمْ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করলো। সুতরাং আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি। নিশ্চয় তাতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে; এবং তাদের মধ্যে অনেকে মুসলমান ছিলো না।

 

Tafsir		26:140
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং নিশ্চয় আপনার রবই পরম সম্মানিত দয়ালু।

 

Tafsir		26:141
كَذَّبَتْ ثَمُودُ الْمُرْسَلِينَ
সামূদ সম্প্রদায় রসূলগণকে অস্বীকার করেছে;

 

Tafsir		26:142
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ صَالِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদেরকে তাদের স্বোগোত্রীয় লোক সালিহ্‌ বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?

 

Tafsir		26:143
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র বিশ্বস্ত রসূল হই;

 

Tafsir		26:144
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।

 

Tafsir		26:145
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এবং আমি তোমাদের নিকট এর উপর কোন প্রতিদান চাই না; আমার প্রতিদান তো তারই নিকট যিনি সমগ্র জগতের রব।

 

Tafsir		26:146
أَتُتْرَكُونَ فِي مَا هَاهُنَا آمِنِينَ
তোমাদেরকে কি এখানকার নি’মাতগুলোর মধ্যে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হবে-

 

Tafsir		26:147
فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
বাগান এবং প্রস্রবণসমূহ

 

Tafsir		26:148
وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ
এব শস্যক্ষেত্রাদি ও এমন খেজুরসমূহের মধ্যে, যেগুলোর গুচ্ছ সুকোমল?

 

Tafsir		26:149
وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ
এবং তোমরা তো পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করছো নৈপূণ্যের সাথে।

 

Tafsir		26:150
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।

 

Tafsir		26:151
وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ
এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের কথা মতো চলো না;

 

Tafsir		26:152
الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ
ওই সব লোক, যারা পৃথিবীতে ফ্যাসাদ ছড়ায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করে না।

 

Tafsir		26:153
قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
তারা বললো, আপনার উপর তো যাদুর প্রভাব পড়েছে।

 

Tafsir		26:154
مَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا فَأْتِ بِآيَةٍ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
আপনি তো আমাদেরই মতো মানুষ। কাজেই, কোন নিদর্শন উপস্থিত করুন যদি সত্যবাদী হোন।

 

Tafsir		26:155
قَالَ هَٰذِهِ نَاقَةٌ لَّهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
তিনি বললেন, ‘এটা উষ্ট্রী একদিন এটার পানি পানের পালা আর একটা নির্ধারিত দিন তোমাদের পালা।

 

Tafsir		26:156
وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ
এবং সেটাকে অনিষ্ট সহকারে স্পর্শ করো না। করলে, তোমাদের উপর মহা দিবসের শাস্তি এসে পড়বে’।

 

Tafsir		26:157
فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا نَادِمِينَ
এর জবাবে, তারা সেটার পায়ের গোছগুলো কেটে ফেললো;অতঃপর সকালে অনুশোচনা করতে লাগলো।

 

Tafsir		26:158
فَأَخَذَهُمُ الْعَذَابُ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
অতঃপর তাদের শাস্তি গ্রাস করে নিলো। নিশ্চয় তাতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মসুলমান ছিলো না।

 

Tafsir		26:159
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং নিশ্চয় আপনার রবই সম্মানের অধিকারী, দয়ালু।

 

Tafsir		26:160
كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ
লূতের সম্প্রদায় রসূলগণকে অস্বীকার করেছে।

 

Tafsir		26:161
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদেরকে তাদেরই স্বগোত্রীয় লোক লূত বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?

 

Tafsir		26:162
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র বিশ্বস্ত রসূল হই;

 

Tafsir		26:163
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।

 

Tafsir		26:164
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এবং আমি এর উপর তোমাদের নিকটে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো তারই নিকট, যিনি সমগ্র জাহানের রব।

 

Tafsir		26:165
أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ
তোমরা কি সৃষ্টির মধ্যে পুরুষদের সাথে বলাৎকার করছো?

 

Tafsir		26:166
وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُم مِّنْ أَزْوَاجِكُم ۚ بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ
এবং বর্জন করছো তাদেরকই, যাদেরকে তোমাদের জন্য তোমাদের রব পত্নি তৈরী করেছেন; বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী’।

 

Tafsir		26:167
قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ
তারা বললো, ‘হে লূত! যদি আপনি নিবৃত্ত না হন তাহলে অবশ্যই আপনি নির্বাসিত হবেন’।

 

Tafsir		26:168
قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِينَ
তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদের এ কর্মকে ঘৃণা করি।

 

Tafsir		26:169
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তাদের অপকর্ম থেকে রক্ষা করো’।

 

Tafsir		26:170
فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবারের সবাইকে রক্ষা করলাম;

 

Tafsir		26:171
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
কিন্তু এক বৃদ্ধা; সে পেছনে রয়ে গেলো।

 

Tafsir		26:172
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
অতঃপর আমি অন্যান্যদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি।

 

Tafsir		26:173
وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا ۖ فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنذَرِينَ
এবং আমি তাদের উপর এক বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। সুতরাং তা কতোই ক্ষতিকর বর্ষণ ছিলো ভয়-প্রদর্শিতদের জন্য।

 

Tafsir		26:174
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় তাতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মুসলমান ছিলো না।

 

Tafsir		26:175
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং নিশ্চয় আপনার রবই সম্মানের অধিকারী, দয়ালু।

 

Tafsir		26:176
كَذَّبَ أَصْحَابُ الْأَيْكَةِ الْمُرْسَلِينَ
‘বন’-বাসীগণ রসূলগণকে অস্বীকার করেছে,

 

Tafsir		26:177
إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদেরকে শু’আয়ব বললেন, ‘তোমরা কি ভয় করছো না?’

 

Tafsir		26:178
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র বিশ্বস্ত রসূল;

 

Tafsir		26:179
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
সুতরাং আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।

 

Tafsir		26:180
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এবং আমি এর উপর তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো তারই নিকট যিনি সমগ্র জাহানের রব।

 

Tafsir		26:181
أَوْفُوا الْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُخْسِرِينَ
মাপ পূর্ণ করো এবং (মাপে) ঘাটতিকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।

 

Tafsir		26:182
وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ
এবং সঠিক দাড়ি পাল্লায় ওজন করো।

 

Tafsir		26:183
وَلَا تَبْخَسُوا النَّاسَ أَشْيَاءَهُمْ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
এবং লোকদের বস্তুসমূহে কম করে দিও না আর পৃথিবীতে ফ্যাসাদ ছড়িয়ে বেড়িয়ো না।

 

Tafsir		26:184
وَاتَّقُوا الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالْجِبِلَّةَ الْأَوَّلِينَ
আর তাকে ভয় করো যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং পূর্ববর্তী সৃষ্টিকেও’।

 

Tafsir		26:185
قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
তারা বললো, ‘আপনার উপর যাদুর প্রভাব পড়েছে;

 

Tafsir		26:186
وَمَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ
আপনি তো আমাদের মতোই একজন মানুষ এবং নিশ্চয় আমরা আপনাকে মিথ্যাবাদী মনে করি।

 

Tafsir		26:187
فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفًا مِّنَ السَّمَاءِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
সুতরাং আমাদের উপর আসমানের কোন একটা খণ্ড ফেলে দিন যদি আপনি সত্যবাদী হোন’।

 

Tafsir		26:188
قَالَ رَبِّي أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ
তিনি বললেন, ‘আমার রব তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে ভালো জানেন’।

 

Tafsir		26:189
فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ ۚ إِنَّهُ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
অতঃপর তারা তাকে অস্বীকার করলো। পরে তাদেরকে মেঘ-ছায়াচ্ছন্ন দিনের শাস্তি গ্রাস করলো। নিশ্চয় তা মহা দিবসের শাস্তি ছিলো।

 

Tafsir		26:190
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয় এতে অবশ্য নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে মুসলমান ছিলো না।

 

Tafsir		26:191
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
এবং নিশ্চয় আপনার রবই সম্মানের অধিকারী, দয়ালু।

 

Tafsir		26:192
وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এবং নিশ্চয় এই ক্বোরআন জগতসমূহের রবের অবতীর্ণ।

 

Tafsir		26:193
نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ
সেটাকে ‘রুহুল আমীন’ নিয়ে অবতরণ করেছেন--

 

Tafsir		26:194
عَلَىٰ قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنذِرِينَ
আপনার হৃদয়ের উপর, যাতে আপনি সতর্ক করেন,

 

Tafsir		26:195
بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُّبِينٍ
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।

 

Tafsir		26:196
وَإِنَّهُ لَفِي زُبُرِ الْأَوَّلِينَ
এবং নিশ্চয় সেটার চর্চা পূর্ববর্তী কিতাবখণ্ডের মধ্যে রয়েছে।

 

Tafsir		26:197
أَوَلَمْ يَكُن لَّهُمْ آيَةً أَن يَعْلَمَهُ عُلَمَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ
এবং এটা কি তাদের জন্য নিদর্শন ছিলো না যে, এ নবীকে বনী ইস্রাঈলের আলিমগণ জানে।

 

Tafsir		26:198
وَلَوْ نَزَّلْنَاهُ عَلَىٰ بَعْضِ الْأَعْجَمِينَ
এবং যদি আমি সেটাকে কোন অনারব ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ করতাম;

 

Tafsir		26:199
فَقَرَأَهُ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا بِهِ مُؤْمِنِينَ
অতঃপর সে তা তাদেরকে পাঠ করে শুনাতো, তবুও সেটার উপর ঈমান আনতো না।

 

Tafsir		26:200
كَذَٰلِكَ سَلَكْنَاهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
আমি এভাবেই অস্বীকার করাকে সঞ্চার করে দিয়েছি অপরাধীদের অন্তরে।

 

Tafsir		26:201
لَا يُؤْمِنُونَ بِهِ حَتَّىٰ يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
তারা সেটার উপর ঈমান আনবে না যতক্ষণ না তারা বেদনাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে;

 

Tafsir		26:202
فَيَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের উপর এসে পড়বে, আর তাদের খবরও হবে না;

 

Tafsir		26:203
فَيَقُولُوا هَلْ نَحْنُ مُنظَرُونَ
অতঃপর বলবে, ‘আমাদেরকে কি কিছু অবকাশ দেওয়া হবে?’

 

Tafsir		26:204
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
তবে কি তারা আমার শাস্তিকে ত্বরান্বিত করছে?

 

Tafsir		26:205
أَفَرَأَيْتَ إِن مَّتَّعْنَاهُمْ سِنِينَ
ভালো দেখো তো, যদি আমি কয়েকটা বছর তাদেরকে ভোগ করতে দিই;

 

Tafsir		26:206
ثُمَّ جَاءَهُم مَّا كَانُوا يُوعَدُونَ
অতঃপর তাদের উপর তা এসে পড়ে, যার প্রতিশ্রুতি তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে;

 

Tafsir		26:207
مَا أَغْنَىٰ عَنْهُم مَّا كَانُوا يُمَتَّعُونَ
তবে কি তাদের কাজে আসবে, যা তারা ভোগ করে এসেছিলো?

 

Tafsir		26:208
وَمَا أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ
এবং আমি এমন কোন বস্তিকে ধ্বংস করি না যার জন্য সতর্ককারী ছিলো না-

 

Tafsir		26:209
ذِكْرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَالِمِينَ
উপদেশের জন্য; এবং আমি যুল্‌ম করি না।

 

Tafsir		26:210
وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّيَاطِينُ
এবং এ ক্বোরআনকে নিয়ে শয়তান অবতীর্ণ হয় নি।

 

Tafsir		26:211
وَمَا يَنبَغِي لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ
এবং তারা এর উপযোগীও নয় আর না তারা এমন করতে পারে।

 

Tafsir		26:212
إِنَّهُمْ عَنِ السَّمْعِ لَمَعْزُولُونَ
তাদেরকে তো শ্রবণ করার স্থান থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

Tafsir		26:213
فَلَا تَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ فَتَكُونَ مِنَ الْمُعَذَّبِينَ
অতএব, আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য খোদার পূজা করো না। করলে তোমার উপর শাস্তি হবে।

 

Tafsir		26:214
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
এবং হে মাহবূব! আপন নিকটাত্নীয়বর্গকে সতর্ক করুন।

 

Tafsir		26:215
وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
এবং আপন দয়ার ডানা প্রসারিত করুন আপন অনুসারী মুসলমানদের জন্য।

 

Tafsir		26:216
فَإِنْ عَصَوْكَ فَقُلْ إِنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ
সুতরাং যদি তারা আপনার নির্দেশ অমান্য করে, তবে বলে দিন, ‘আমি তোমাদের কর্মগুলোর সাথে সম্পর্কহীন’।

 

Tafsir		26:217
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
এবং তারই উপর নির্ভর করুন, যিনি পরম সম্মানিত দয়ালু;

 

Tafsir		26:218
الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি দণ্ডায়ময়ান হোন’।

 

Tafsir		26:219
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
এবং নামাযীদের মধ্যে আপনার পরিদর্শনার্থে ভ্রমণকেও।

 

Tafsir		26:220
إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
নিশ্চয় তিনি শুনেন, জানেন।

 

Tafsir		26:221
هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ
আমি কি তোমাদেরকে বলে দেবো- কার নিকট অবতীর্ণ হয় শয়তানগণ?

 

Tafsir		26:222
تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক জঘন্য অপবাদ-রটনাকারী পাপীর নিকট;

 

Tafsir		26:223
يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ
শয়তানগণ তাদের শ্রুত কথা এদের প্রতি নিক্ষেপ করে এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশ মিথ্যাবাদী।

 

Tafsir		26:224
وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ
এবং কবিগণের অনুসরণ পথভ্রষ্টরাই করে থাকে।

 

Tafsir		26:225
أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
আপনি কি দেখেন নি যে, তারা প্রত্যেকটি উপত্যকায় হতাশার মধ্যে ঘুরে বেড়ায়?

 

Tafsir		26:226
وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ
এবং তারা তা বলে যা করে না;

 

Tafsir		26:227
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا وَانتَصَرُوا مِن بَعْدِ مَا ظُلِمُوا ۗ وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
কিন্তু ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, আল্লাহ্‌কে অধিক পরিমাণে স্মরণ করেছে এবং প্রতিশোধ গ্রহন করেছেন এর পর যে, তাদের উপর যুল্‌ম হয়েছে এবং এখন জানতে চায় যালিমগণ যে, কোন পার্শ্বের উপর তারা পলট খাবে।