সূরা মুলক -‏الملك‎ 

~ সুরা পরিচিতি ~

---

 

Tafsir		67:1
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
বড়ই কল্যাণময় তিনি, যার মুঠোর মধ্যে রয়েছে সমগ্র বিশ্ব-রাজ্য; এবং তিনি প্রত্যেক কিছুর উপর শক্তিমান;

 

Tafsir		67:2
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ
তিনি, যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমাদের পরীক্ষা হয়ে যায়- তোমাদের মধ্যে কার কর্ম অধিক উত্তম। এবং তিনিই মহা সম্মানিত,ক্ষমাশীল।

 

Tafsir		67:3
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَّا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَٰنِ مِن تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ
যিনি সপ্ত আস্‌মান সৃষ্টি করেছেন একটার উপর অপরটা; তুমি রহমানের সৃষ্টিতে কি পার্থক্য দেখছো? সুতরাং দৃষ্টি উঠিয়ে দেখো তুমি কি কোন ফাটল দেখতে পাচ্ছো?

 

Tafsir		67:4
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
অতঃপর আবার দৃষ্টি উঠাও, দৃষ্টি তোমার দিকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে ক্লান্ত ও হতভম্ভ অবস্থায়।

 

Tafsir		67:5
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
এবং নিশ্চয় আমি নিম্নতম আস্‌মানকে প্রদীপমালা দ্বারা সজ্জিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ করেছি এবং তাদের জন্য জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি প্রস্তুত করেছি।

 

Tafsir		67:6
وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
এবং যারা আপন রবের সাথে কুফর করেছে তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে এবং কতোই মন্দ পরিণতি!

 

Tafsir		67:7
إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ
যখন (তাদেরকে) তাতে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সেটার চিৎকারের শব্দ শুনবে- তা জোশ্‌ মারছে।

 

Tafsir		67:8
تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ ۖ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ
মনে হবে যে ভীষণ ক্রোধে ফেটে পড়ছে। যখনই কোন দলকে তাতে নিক্ষেপ করা হবে তখন সেটার দারোগা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসে নি?’

 

Tafsir		67:9
قَالُوا بَلَىٰ قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ
তারা বলবে, ‘কেন নয়? নিশ্চয় আমাদের নিকট সতর্ককারী তাশরীফ এনেছেন অতঃপর আমরা অস্বীকার করেছি এবং বলেছি, ‘আল্লাহ্‌ কিছুই অবতীর্ণ করেননি। তোমরা তো নও, কিন্তু জঘন্য পথভ্রষ্টতাঁর মধ্যে।

 

Tafsir		67:10
وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ
এবং বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বুঝতাম, তবে দোযখবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না’।

 

Tafsir		67:11
فَاعْتَرَفُوا بِذَنبِهِمْ فَسُحْقًا لِّأَصْحَابِ السَّعِيرِ
এখন তারা নিজেদের পাপ স্বীকার করলো। সুতরাং দোযখীদের প্রতি ধিক্কার!

 

Tafsir		67:12
إِنَّ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ
নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা না দেখে আপন রবকে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।

 

Tafsir		67:13
وَأَسِرُّوا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوا بِهِ ۖ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
এবং তোমরা নিজেদের কথা নীরবে বলো কিংবা সরবে, তিনি তো অন্তর্যামী।

 

Tafsir		67:14
أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
তিনি কি জানেন না, যিনি সৃষ্টি করেছেন? এবং তিনিই হন প্রত্যেক সূক্ষ্ম বিষয়ের জ্ঞাতা, অবহিত।

 

Tafsir		67:15
هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِن رِّزْقِهِ ۖ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
তিনিই, যিনি তোমাদের জন্য ভূ-পৃষ্ঠকে সুগম করে দিয়েছেন সুতরাং সেটার রাস্তাগুলো দিয়ে চলো এবং আল্লাহ্‌ প্রদত্ত জীবিকাগুলোর থেকে আহার করো। আর তাঁরই দিকে উত্থিত হতে হবে।

 

Tafsir		67:16
أَأَمِنتُم مَّن فِي السَّمَاءِ أَن يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ
তোমরা কি নির্ভিক হয়ে গেছো তাঁরই থেকে, যার বাদশাহী আস্‌মানে রয়েছে, এ থেকে যে, তিনি তোমাদেরকে ভূ-গর্ভে ধ্বসিয়ে ফেলবেন। তখনই তা কাঁপতে থাকবে।

 

Tafsir		67:17
أَمْ أَمِنتُم مَّن فِي السَّمَاءِ أَن يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا ۖ فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ
অথবা তোমরা কি ভয়হীন হয়ে গেছো তাঁর থেকে, যার বাদশাহী আস্‌মানে রয়েছে, এ থেকে যে তোমাদের প্রতি তিনি কঙ্করবর্ষী ঝঞ্ঝা প্রেরণ করবেন? সুতরাং এখন জানতে পারবে কেমন ছিলো আমার ভয় প্রদর্শন।

 

Tafsir		67:18
وَلَقَدْ كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ
এবং নিশ্চয় তাদের পূর্ববর্তীগণ অস্বীকার করেছে। সুতরাং কেমন হয়েছে আমাকে অস্বীকার করা?’

 

Tafsir		67:19
أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الطَّيْرِ فَوْقَهُمْ صَافَّاتٍ وَيَقْبِضْنَ ۚ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا الرَّحْمَٰنُ ۚ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ بَصِيرٌ
এবং তারা কি নিজেদের উপরে পাখীগুলোকে দেখে নি? সেগুলো পাখা বিস্তার করে ও সংকুচিত করে। সেগুলোকে কেউ স্থির রাখে না রহমান ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি সবকিছু দেখেন।

 

Tafsir		67:20
أَمَّنْ هَٰذَا الَّذِي هُوَ جُندٌ لَّكُمْ يَنصُرُكُم مِّن دُونِ الرَّحْمَٰنِ ۚ إِنِ الْكَافِرُونَ إِلَّا فِي غُرُورٍ
অথবা তোমাদের সে কোন্‌ বাহিনী আছে, যা রহমানের মোকাবেলায় তোমাদের সাহায্য করবে? কাফিররা তো ধোকার মধ্যেই রয়েছে।

 

Tafsir		67:21
أَمَّنْ هَٰذَا الَّذِي يَرْزُقُكُمْ إِنْ أَمْسَكَ رِزْقَهُ ۚ بَل لَّجُّوا فِي عُتُوٍّ وَنُفُورٍ
অথবা কে এমন আছে, যে তোমাদেরকে জীবিকা দেবে যদি তিনি আপন জীবিকা বন্ধ রাখেন? বরং তারা অবাধ্য এবং ঘৃণার মধ্যে অবিচল হয়ে আছে।

 

Tafsir		67:22
أَفَمَن يَمْشِي مُكِبًّا عَلَىٰ وَجْهِهِ أَهْدَىٰ أَمَّن يَمْشِي سَوِيًّا عَلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
তবে কি ওই ব্যক্তি যে আপন মুখমণ্ডলের উপর ভর করে ঋজু হয়ে চলে সে অধিক সরল পথে রয়েছে, না ওই ব্যক্তি, যে সোজা হয়ে চলে, সরল পথের উপর?

 

Tafsir		67:23
قُلْ هُوَ الَّذِي أَنشَأَكُمْ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ ۖ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
আপনি বলুন! ‘তিনিই, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য কান, চোখ ও অন্তর সৃষ্টি করেছেন। কত কম লোকই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছো!’

 

Tafsir		67:24
قُلْ هُوَ الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
আপনি বলুন! তিনিই, যিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তার করেছেন এবং তাঁরই প্রতি উত্থিত হবে।

 

Tafsir		67:25
وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
এবং বলে, ‘এ প্রতিশ্রুতি কবে আসবে যদি তোমরা সত্যবাদী হও?’

 

Tafsir		67:26
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
আপনি বলুন, ‘এ জ্ঞান তো আল্লাহ্‌র নিকট রয়েছে এবং আমি তো এ-ই সুস্পষ্ট সতর্ককারী।

 

Tafsir		67:27
فَلَمَّا رَأَوْهُ زُلْفَةً سِيئَتْ وُجُوهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَقِيلَ هَٰذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تَدَّعُونَ
অতঃপর যখন ওটা সন্নিকটে দেখতে পাবে তখন কাফিরদের মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাবে এবং তাদেরকে বলে দেওয়া হবে, ‘এটাই হচ্ছে-যা তোমরা চাচ্ছিলে’।

 

Tafsir		67:28
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَهْلَكَنِيَ اللَّهُ وَمَن مَّعِيَ أَوْ رَحِمَنَا فَمَن يُجِيرُ الْكَافِرِينَ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
আপনি বলুন, ‘ভালো, দেখো তো! যদি আল্লাহ্‌ আমাকে ও আমার সঙ্গপ্রাপ্তদেরকে ধ্বংস করে দেন কিংবা আমাদের উপর দয়া করেন, তবে সে কে আছে, যে কাফিরদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’

 

Tafsir		67:29
قُلْ هُوَ الرَّحْمَٰنُ آمَنَّا بِهِ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَا ۖ فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
আপনি বলুন, ‘তিনিই রহমান, আমরা তাঁর উপর ঈমান এনেছি এবং তাঁরই উপর নির্ভর করেছি। সুতরাং এখন জানতে পারবে কে সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার মধ্যে রয়েছে’।

 

Tafsir		67:30
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَن يَأْتِيكُم بِمَاءٍ مَّعِينٍ
আপনি বলুন, ‘ভালো, দেখোতো! যদি সকালে তোমাদের পানি ভূ-গর্ভে ধ্বসে যায়, তবে এমন কে আছে, যে তোমাদের নিকট পানি এনে দেবে, যা চোখের সামনে প্রবহমান?’