যাতে তোমরা সেগুলোর পিঠের উপর স্থিরভাবে বসতে পারো অতঃপর আপন রবের নি’মাতকে স্মরণ করো যখন সেটার উপরস্থির ভাবে বসে যাও, এবং এভাবে বলো, ‘পবিত্রতা তাঁরই যিনি এ যানকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন; অথচ সেটা আমাদের বশীভূত হবার ছিলোনা;
এবং তারা ফিরিশ্তাদেরকে, যারা রাহমানেরই বান্দা, ‘নারী জাতি’ সাব্যস্ত করেছে। এরা কি তাদেরকে সৃষ্টি করার সময় উপস্থিত ছিলো? এখন লিপিবদ্ধ করা হবে তাদের সাক্ষ্য এবং তাদের নিকট থেকে জবাব তলব করা হবে।
এবং তারা বলবে, ‘যদি পরম দয়ালু ইচ্ছা করতেন, তবে আমরা সেগুলোর পূজা করতাম না’। তাদের সেটার প্রকৃত রহস্য সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। এভাবেই তারা মনগড়া কথাবার্তা বলে বেড়ায়।
এবং এভাবেই আমি তোমাদের পূর্বে যখন কোন শহরে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখন সেখানকার অবস্থাসম্পন্ন লোকেরা এ কথাই বলেছে ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে একটা দ্বীনের উপর পেয়েছি এবং আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছি’।
নবী বলেছেন, ‘এবং তবুও কি, যখন আমি তোমাদের নিকট সেটাই নিয়ে আসবো, যা বেশি সরল পথ হয় সেটার চেয়েও, যার উপর তোমাদের বাপ দাদা ছিলো? তারা বললো, ‘যা কিছু সহকারে তোমরা প্রেরিত হয়েছো আমরা তা মানিনা’।
আপনার রবের অনুগ্রহ কি তারা বন্টন করে? আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবন সামগ্রী পার্থিব জীবনে বণ্টন করেছি এবং তাদের মধ্যে এককে অপরের উপর বহু উচ্চ মর্যাদায় মর্যাদাবান করেছি, যাতে একে অপরকে হাসি ঠাট্টার পাত্র করে নেয় এবং আপনার রবের অনুগ্রহ তাদের সঞ্চিত অর্থ ও জনবল থেকে উত্তম।
এবং যদি এটা না হতো যে, সমস্ত লোক এ দ্বীন (অর্থাৎ কুফর এর) উপর হয়ে যাবে, তবে আমি অবশ্যই রহমানের অস্বীকারকারীদের জন্য রূপার ছাদ ও সিড়িসমূহ সৃষ্টি করতাম, যেগুলোর উপর তারা চড়তো;
এবং নিশ্চয় আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাদি সহকারে ফির’আউন ও তার পরিষদবর্গের প্রতি প্রেরণ করেছি, তখন তিনি বললেন, ‘নিশ্চয় আমি তার রসূল, যিনি সমগ্র জাহানের মালিক।
এবং ফির’আউন আপন সম্প্রদায়ের মধ্যে আহ্বান করলো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমার জন্য কি মিশরের বাদশাহী নেই এবং এসব নদ-নদীও, যেগুলো আমার নিম্নদেশে প্রবহামান? তবে কি তোমরা দেখতে পাচ্ছো না?
এবং যখন ঈসা সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এলো, তখন সে বললো, ‘আমি তোমাদের নিকট ‘হিকমত’ নিয়ে এসেছি এবং এজন্যে যে, আমি তোমাদের নিকট বর্ণনা করবো এমন কিছু কথা, যেগুলোতে তোমরা মতভেদ করছো। সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আমার নির্দেশ মান্য করো।
সুতরাং আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন-তারা অনর্থক কথাবার্তা বলতে থাকুক এবং ক্রীড়া তামাশা করুক এ পর্যন্ত যে, তারা ওই দিনকে পাবে, যার প্রতিশ্রুতি তাদের সাথে রয়েছে।
এবং মহা বরকতময় তিনি, যার জন্যই হচ্ছে রাজত্ব আস্মানসমূহ ও যমীনের এবং যা কিছু উভয়ের মধ্যখানে রয়েছে এবং তাঁরই নিকট রয়েছে ক্বিয়ামতের জ্ঞান এবং তোমাদেরকে তাঁরই প্রতি প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
এবং এরা আল্লাহ্ ব্যতীত যেগুলোর পূজা করছে, সেগুলো সুপারিশের ক্ষমতা রাখে না। হাঁ, সুপারিশের ক্ষমতা তাদেরই রয়েছে যারা সত্যের সাক্ষ্য দিয়েছে এবং জ্ঞান রাখে।