হে মাহবূব! আপনাকে গনীমতসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে; আপনি বলুন, গনীমত সমূহের মালিক আল্লাহ্ ও তার রসূল; সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করো এবং পরস্পরের মধ্যে সদ্ভাব রাখো আর আল্লাহ্ ও রসূলের নির্দেশ পালন করো, যদি ঈমান রাখো’।
ঈমানদার তারাই যে, যখন আল্লাহ্কে স্মরন করা হয় তখন তাদের হৃদয় ভয়ে প্রকম্পিত হয় এবং যখন তাদের নিকট তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমানের উন্নতি হয় এবং নিজেদের রবের উপরই নির্ভয় করে।
এবং স্মরণ করো! যখন আল্লাহ্ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ওই দু’দলের মধ্যে একটা তোমাদের জন্য; আর তোমরা এটা চাচ্ছিলে যে, তোমরা সেটাই লাভ করবে যার মধ্যে কাটার সংকট নেই; এবং আল্লাহ্ এটা চাচ্ছিলেন যে, তিনি নিজ বাণী দ্বারা সত্যকে সত্য করে দেখাবেন এবং কাফিরদেরকে নির্মূল করে দেবেন;
যখন তোমরা আপন রবের নিকট সাহায্যে প্রার্থনা করছিলে, তখন তিনি তোমাদের প্রার্থনা ক্ববূল করেছেন (আর বলেছেন),’আমি তোমাদের সাহায্যকারী হাজার সারিবদ্ধ ফিরিশ্তা দ্বারা’।
এবং এটা তো আল্লাহ্ কেবল তোমাদের খুশীর জন্যই করেছেন এবং এজন্য যে, তোমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে; আর সাহায্য তো শুধু আল্লাহ্রই নিকট থেকে আসে, নিশ্চয় আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
যখন তিনি তোমাদেরকে তন্দ্রায় আচ্ছন্ন করে দিলেন, তখন তারই পক্ষ থেকে স্বস্তি ছিলো এবং আসমান থেকে তোমাদের উপর পানি বর্ষণ করলেন, যাতে তা দ্বারা তোমাদেরকে পবিত্র করে দেন আর শয়তানদের অপবিত্রতা তোমাদের থেকে দূর করে দেন এবং তোমাদের হৃদয়গুলোকে দৃঢ় করে দেন আর এটা দ্বারা তোমাদের পাগুলো অটল রাখেন।
এবং যে ব্যক্তি সেদিন তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, যুদ্ধ-কৌশল অবলম্বন করা কিংবা স্বীয় দলের সাথে একত্রিত হবার লক্ষ্যে ব্যতীত, তবে সে আল্লাহ্র ক্রোধের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করলো এবং তার ঠিকানা হচ্ছে দোযখ; আর তা কতোই নিকৃষ্ট স্থান প্রত্যাবর্তন করার!
অতঃপর তাদেরকে তোমরা হত্যা করো নি, বরং আল্লাহ্ তাদেরকে হত্যা করেছেন এবং হে মাহবূব! ওই মাটি, যা আপনি নিক্ষেপ করেছেন, তা আপনি নিক্ষেপ করেন নি, বরং আল্লাহ্ নিক্ষেপ করেছেন এবং এ জন্য যে, মুসলমানদেরকে তা থেকে উত্তম পুরস্কার দান করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
হে কাফিরগণ! যদি তোমরা মীমাংসা চাও, তবে এ মীমাংসা তোমাদের নিকট এসে গেছে আর যদি বিরত হও, তবে তোমাদের জন্য মঙ্গল; এবং যদি তোমরা পুনরায় দুষ্টামী করো তবে আমি পুনরায় শাস্তি দেবো; আর তোমাদের দল তোমাদের কোন কাজে আসবে না, সংখ্যায় যতই বেশি হোক না কেন এবং এর সাথে এও রয়েছে যে, আল্লাহ্ মুসলমানদের সাথে আছেন।
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্ ও তার রসূলের আহ্বানে হাযির হও যখন রসূল তোমাদেরকে ওই বস্তুর জন্য আহ্বান করেন, যা তোমাদেরকে জীবন দান করবে এবং জেনে রাখো যে, আল্লাহ্র নির্দেশ মানুষ ও তার মনের ইচ্ছাগুলোর মধ্যে অন্তরায় হয়ে যায় আর এ কথাও যে, তোমাদেরকে তার প্রতি উঠতে হবে।
এবং স্মরণ করো! যখন তোমরা সংখ্যায় স্বল্প ছিলে, রাজ্যে দমিত অবস্থায়; আশঙ্কা করতে লোকেরা তোমাদেরকে কখনো অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে কিনা, তখন তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন এবং স্বীয় সাহায্য দ্বারা শক্তি দান করেছেন আর পবিত্র বস্তুসমূহ তোমাদেরকে জীবিকারূপে প্রদান করেছেন যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
হে ঈমানদারগণ! যদি আল্লাহ্কে ভয় করো তবে তোমাদেরকে তাই প্রদান করবেন, যা দ্বারা সত্যকে মিথ্যা থেকে পথিক করে নেবে আর তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন; আর আল্লাহ্ অতিশয় করুণাময়।
এবং হে মাহবূব, স্মরণ করুন! যখন কাফির আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলো যে, আপনাকে বন্দী করে রাখবে কিংবা শহীদ করবে অথবা নির্বাসিত করবে এবং তারা নিজেদের মতো ষড়যন্ত্র করছিলো; আর আল্লাহ্ নিজের গোপন কৌশল করছিলেন; এবং আল্লাহ্র গোপন কৌশল সর্বাপেক্ষা উত্তম।
এবং যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন (তারা) বলে,’হাঁ, আমরা শুনেছি। ইচ্ছা করলে আমরাও অনুরূপ বলে দিতাম। এগুলো তো পূর্ববর্তীদের কিচ্ছা কাহিনী মাত্র’।
এবং যখন (তারা) বললো,’হে আল্লাহ্! যদি এ (ক্বোরআন) তোমার নিকট থেকে সত্য হয়, তবে আমাদের উপর আসমান থেকে পাথর বর্ষণ করো কিংবা কোন বেদনাদায়ক শাস্তি আমাদের উপর নিয়ে এসো!’
এবং আল্লাহ্র কাজ এ নয় যে, তাদেরকে শাস্তি দেবেন যতক্ষণ পর্যন্ত হে মাহবূব, আপনি তাদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন এবং আল্লাহ্ তাদেরকে শাস্তিদাতা নন যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ক্ষমা প্রার্থনারত থাকছে।
এবং তাদের কী বা আছে যে, আল্লাহ্ তাদেরকে শাস্তি দেবেন না? তারা তো’মসজিদে হারাম’ থেকে নিবৃত্ত করছে এবং তারা সেটার তত্বাবধায়কও নয়। সেটার তত্বাবধায়কগণ তো খোদাভীরুরাই; কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশের জ্ঞান নেই।
নিশ্চয় কাফিরগণ নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে (এ জন্য ) যে, আল্লাহ্র পথ থেকে নিবৃত্ত রাখবে; সুতরাং এখন তারা ধন সম্পদ ব্যয় করবে, অতঃপর তা তাদের উপর অনুতাপের কারণ হবে এরপর তাদেরকে পরাভূত করা হবে এবং কাফিরদেরকে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে।
আপনি কাফিরদেরকে বলুন,’যদি তারা বিরত থাক, তবে যা গত হয়েছে তা তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; এবং যদি আবারো তাই করে, তবে পূর্ববর্তীদের অনুসৃত প্রথা তো অতিবাহিত হয়েছে।
এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যতক্ষণ পর্যন্ত কোন ফ্যাসাদ অবশিষ্ট না থাকে এবং সমগ্র দ্বীন আল্লাহ্রই হয়ে যায়; আর যদি তারা বিরত থাকে, তবে আল্লাহ্ তাদের কাজ দেখছেন।
এবং জেনে রেখো যে, তোমরা যা কিছু গনীমত হিসেবে লাভ করো, তবে তার এক পঞ্চমাংশ বিশেষ করে আল্লাহ্র, রসূলের, স্বজনদের, এতিমদের, দরিদ্রদের এবং মুসাফিরদের; যদি তোমরা ঈমান এনে থাকো আল্লাহ্র উপর এবং সেটার উপর, যা আমি আমার বান্দার প্রতি মীমাংসার দিন অবতীর্ণ করেছি; যেদিন উভয় সৈন্যদল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিলো; এবং আল্লাহ্ সব কিছু করতে পারেন।
যখন তোমরা উপত্যকার নিকট প্রান্তে ছিলে এবং কাফিররা ছিলো দূরপ্রান্তে, আর কাফেলা (উষ্ট্রারোহী বণীকদল) ছিলো তোমাদের চেয়ে নিম্নভূমিতে; এবং যদি তোমরা পরস্পরের মধ্যে কোন অঙ্গীকার করতে, তবে অবশ্যই যথাসময়ে ঐকমত্যে পৌছতে পারতে না; কিন্তু এটা এ জন্য যে, আল্লাহ্ পূরণ করেন যে কাজ হবার ছিলো, যাতে সে ধ্বংস হবে সে যেন প্রমাণের আলোকে ধ্বংস হয় আর যে জীবিত থাকবে সে যেন প্রমাণের আলোকে জীবিত থাকে; এবং নিশ্চয় আল্লাহ্ অবশ্যই শুনেন, জানেন।
হে মাহবূব! যখন আল্লাহ্ আপনাকে আপনার স্বপ্নে কাফিরদেরকে সংখ্যায় স্বল্প দেখাচ্ছিলেন এবং হে মুসলমানগণ! যদি তিনি তোমাদেরকে তাদের সংখ্যায় অধিক করে দেখাতেন, তবে অবশ্যই তোমরা সাহস হারাতে এবং যুদ্ধ বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে; কিন্তু আল্লাহ্ রক্ষা করেছেন। নিশ্চয়, তিনি অন্তরসমূহের কথা জানেন।
এবং যখন যুদ্ধের সময় তোমাদেরকে কাফিরদের সংখ্যা স্বল্প করে দেখিয়েছেন আর তোমাদের সংখ্যাও তাদের দৃষ্টিতে স্বল্প করে দেখিয়েছেন, যাতে আল্লাহ্ সম্পন্ন করেন যে কাজ সম্পন্ন হবার ছিলো এবং আল্লাহ্র দিকেই সমস্ত কাজের প্রত্যাবর্তন।
এবং আল্লাহ্ ও তার রসূলের নির্দেশ মেনে চলো আর পরস্পরের মধ্যে বিবাদ করো না। করলে পুনরায় সাহস হারাবে এবং তোমাদের সঞ্চিত বায়ু বিলুপ্ত হতে থাকবে আর ধৈর্যধারণ করো। নিঃসন্দেহে, আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
আর তাদের মতো হবে না, যারা নিজেদের ঘর হতে বের হয়েছে দম্ভভরে ও লোক দেখানোর জন্য এবং আল্লাহ্র পথ থেকে বিরত রাখতে; আর তাদের সমস্ত কাজ আল্লাহ্র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এবং যখন শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যাবলীকে শোভন করেছিলো আর বললো,’আজ তোমাদের উপর কেউ বিজয়ী হবার মতো নেই এবং তোমরা আমার আশ্রয়ে রয়েছো’। অতঃপর যখন উভয় সৈন্যবাহিনী পরস্পরের সম্মুখীন হলো, তখন সে উল্টো পায়ে পালিয়ে গেলো। আর বললো,’আমি তোমাদের থেকে পৃথক। আমি তা-ই দেখতে পাচ্ছি, যা তোমরা দেখছো না। আমি আল্লাহ্কে ভয় করি; এবং আল্লাহ্র শাস্তি খুবই কঠিন’।
যখন বলছিলো মুনাফিক্বগণ এবং ওই সব লোক, যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে,’এসব মুসলমানকে তাদের দ্বীন প্রতারিত করেছে’। এবং যে আল্লাহ্র উপর নির্ভর করে, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।
এবং কখনো যদি তুমি দেখতে পেতে যখন ফিরিশ্তাগণ কাফিরদের প্রাণ হণন করছে, আঘাত করছে তাদের মুখমণ্ডলের উপর এবং তাদের পিঠের উপর;’এবং স্বাদ গ্রহন করো আগুনের শাস্তির’।
যেমন ফির’আউনের অনুসারী ও তাদের পূর্ববর্তীদের অভ্যাস, তারা তাদের রবের আয়াতগুলোকে অস্বীকার করেছে; অতঃপর আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের পাপের জম্য পাকড়াও করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ শক্তিমান, কঠিন শাস্তিদাতা।
এটা এজন্য যে, আল্লাহ্ কোন সম্প্রদায় থেকে, যে অনুগ্রহ তাদেরকে প্রদান করেছেন তা পরিবর্তন করেজ্ঞাতা। ক্ষন পর্যন্ত তারা নিজেরা বদলে না যায়; এবং নিশ্চয় আল্লাহ্ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
যেমন ফির’আউনের অনুসারী ও তাদের পূর্ববর্তীদের অভ্যাস, তারা তাদের রবের আয়াতগুলোকে অস্বীকার করেছে। অতঃপর আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি তাদের গুনাহ্র কারণে এবং আমি ফির’আউনের অনুসারীদেরকে নিমজ্জিত করেছি আর তারা সকলেই যালিম ছিলো।
সুতরাং যদি তোমরা তাদেরকে কোন যুদ্ধের মধ্যে পাও, তবে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করো, যা দ্বারা তাদের পেছনে যারা আছে, তাদেরকে বিতাড়িত করো, এ আশায় যে, হয়তো তাদের শিক্ষা হবে।
এবং যদি আপনি কোন সম্প্রদায় থেকে বিশ্বাস ভঙ্গের আশঙ্কা করেন তবে তাদের চুক্তি তাদের দিকে নিক্ষেপ করুন সমানভাবে। নিঃসন্দেহে, বিশ্বাসভঙ্গকারীগণ আল্লাহ্র নিকট পছন্দনীয় নয়।
আর তাদের (মোকাবেলার) জন্য প্রস্তুত রাখো যে শক্তি তোমাদের সাধ্যে রয়েছে এবং যতসংখ্যক ঘোড়া বাধতে পারো, যা দ্বারা তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করো, যারা আল্লাহ্র শত্রু এবং তোমাদের শত্রু; এবং তারা ব্যতীত অন্যান্যদের অন্তরে, যাদেরকে তোমরা জানো না আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন। আর আল্লাহ্র পথে যা কিছু ব্যয় করবে, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হবে এবং কোন প্রকার ক্ষতির মধ্যে থাকবে না।
এবং যদি তারা আপনাকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ই আপনার জন্য যথেষ্ট; তিনি ওই সত্তা, যিনি আপনাকে শক্তি প্রদান করেছেন স্বীয় সাহায্য এবং মু’মিনদের দ্বারা।
এবং তাদের হৃদয়ের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি করেছেন। যদিও আপনি দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে সবই ব্যয় করে ফেলতেন, তবুও তাদের অন্তরের মধ্যে ভালবাসা স্থাপন করতে পারতেন না; কিন্তু আল্লাহ্ তাদের অন্তর ভালবাসা দ্বারা মিলিয়ে দিয়েছেন। নিশ্চয় তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা ! মুসলমানদেরকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। যদি তোমাদের মধ্যে বিশ জন ধৈর্যশীল থাকে, তবে তারা দু’শ জনের উপর বিজয়ী হবে এবং যদি তোমাদের মধ্যে একশ’জন থাকে, তাহলে কাফিরদের এক হাজারের উপর বিজয়ী হবে; এ জন্য যে, তারা বোধশক্তি রাখে না।
এখন আল্লাহ্ তোমাদের উপর থেকে ভার লাঘব করেছেন এবং তিনি অবগত আছেন যে, তোমরা দুর্বল। সুতরাং যদি তোমাদের মধ্যে একশ’জন ধৈর্যশীল থাকে, তবে তারা দু’শ জনের উপর বিজয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকে, তবে তারা দু’হাজারের উপর বিজয়ী হবে-আল্লাহ্র নির্দেশক্রমে; এবং আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
কোন নবীর সাথে সঙ্গত নয় যে, কাফিরদেরকে জীবিতাবস্থায় বন্দী করবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত যমীনে তাদের খুন প্রবাহিত করবেন না; তোমরা দুনিয়ার সম্পদ কামনা করে থাকো এবং আল্লাহ্ চান আখিরাত; আর আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
যদি আল্লাহ্ পূর্বেই একটা কথা (বিধান) লিপিবদ্ধ না করতেন, তবে হে মুসলমানগণ! তোমরা যা কাফিরদের নিকট থেকে’মুক্তিপণের মাল’ গ্রহণ করেছো, তজ্জন্য তোমাদের উপর মহা শাস্তি আসতো।
হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা! যে সব যুদ্ধবন্ধী আপনাদের করায়ত্বে রয়েছে তাদেরকে বলুন,’যদি আল্লাহ্ তোমাদের হৃদয়ে ভাল কিছু জানেন, তবে তোমাদের নিকট হেকে যা গ্রহণ করা হয়েছে তা অপেক্ষা উত্তম বস্তু তোমাদেরকে দান করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
এবং হে মাহবূব! যদি তারা আপনার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করতে চায়, তবে এর পূর্বে (তারা) আল্লাহ্রই সাথে বিশ্বাস্ব ভঙ্গ করেছে, যার ফলে তিনি ততো সংখ্যক আপনার করায়ত্বে দিয়ে দিয়েছেন; এবং আল্লাহ্ জ্ঞাতা, প্রজ্ঞাময়।
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ্র জন্য ঘরবাড়ী ছেড়েছে এবং আল্লাহ্র পথে নিজ সম্পদ ও জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছে আর ওই সব লোক, যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে তারা পরস্পর পরস্পরের উত্তরাধিকারী। আর ওই সব লোক, যারা হিজরত করে নি তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির কিছুরই তোমরা মালিক হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা হিজরত না করে এবং যদি তারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাহায্য প্রার্থনা করে, তবে তাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের উপর অপরিহার্য; কিন্তু এমন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয় যে, তোমাদের ও তাদের মধ্যে চুক্তি রয়েছে এবং আল্লাহ্ তোমাদের কর্ম দেখছেন।
এবং ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহ্র সাথে যুদ্ধ করেছে আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে তারাই প্রকৃত ঈমানদার। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানের জীবিকা।
এবং যারা পরে ঈমান এনেছে ও হিজরত করেছে এবং তোমাদের সাথী হয়ে যুদ্ধ করেছে তারাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত; এবং আল্লাহ্র কিতাবের মধ্যে আত্নীয়গণ একে অপর অপেক্ষা অধিক নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবকিছু জানেন।