এবং কিছু লোক খেলাধূলার কথাবার্তা ক্রয় করে যেন আল্লাহ্র পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়, না বুঝে এবং সেটাকে ঠাট্টা-বিদ্রূপরূপে গ্রহণ করে নেয়। তাদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি রয়েছে।
এবং যখন তার নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন অহঙ্কার করে ফিরে যায় যেন সে ওইগুলো শুনেই নি, যেন তার কানে বধিরতা রয়েছে। সুতরাং তাকে বেদনাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন।
তিনি আসমান সৃষ্টি করেছেন এমন সব স্তম্ভ ব্যতীত, যেগুলো তোমরা দেখতে পাও এবং পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন নোঙ্গরসমূহ যাতে তোমাদেরকে নিয়ে কম্পন না করে এবং তাতে প্রত্যেক প্রকারের জীব জন্তু জড়িয়ে দিয়েছেন। আর আমি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর পৃথিবীতে প্রত্যেক উৎকৃষ্ট জোরা উদগত করেছি।
এবং নিশ্চয় আমি লোক্বমানকে হিকমত দান করেছি (আর বলেছি,) ‘আল্লাহ্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে নিজের কল্যাণার্থে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে; এবং যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ অভাবমুক্ত, সকল প্রকার প্রশংসায় প্রশংসিত।
এবং আমি মানুষকে তার মাতা পিতা সম্বন্ধে তাকীদ দিয়েছি তার মাতা তাকে গর্ভে ধারণ করেছে দুর্বলতার উপর দুর্বলতা সহ্য করে এবং তার দুধ ছাড়ানো দু’বছরের মধ্যে। এও যে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো আমার এবং আপন মাতা পিতার; শেষ পর্যন্ত আমারই নিকট আসতে হবে।
এবং যদি তারা উভয় তোমার উপর প্রচেষ্টা চালায় যেন তুমি আমার সমকক্ষ দাঁড় করাও এমন বস্তুকে যে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই, তবে তাদের কথা মান্য করো না এবং পৃথিবীতে সৎভাবে তাদের সাথে বসবাস করবে; আর তারই পথে চলো, যে আমার প্রতি প্রত্যাবর্তন করেছে; অতঃপর আমারই প্রতি তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে, তখন আমি বলে দেবো যা তোমরা করছিলে।
‘হে আমার পুত্র! মন্দকাজ যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, অতঃপর তা কঙ্করময় ভূমিতে কিংবা আসমানগুলোতে অথবা যমীনের মধ্যে যেখানেই থাকুক না কেন, আল্লাহ্ সেটা উপস্থিত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ প্রত্যেক সুক্ষ্ম বিষয়ের জ্ঞাতা, অবহিত।
হে আমার পুত্র! নামায ক্বায়েম রাখো এবং সৎ কাজের নির্দেশ দাও আর অসৎকর্মে নিষেধ করো এবং যে বিপদাপদ তোমার উপর আপতিত হয় সেটার উপর ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয় এগুলো সাহসিকতার কাজ।
তোমরা কি দেখো নি যে, আল্লাহ্ তোমাদের জন্য কাজে নিয়োজিত করেছেন যা কিছু আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে এবং তোমাদেরকে পূর্ণমাত্রায় দিয়েছেন আপন অনুগ্রহসমূহ, প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে। এবং কোন কোন মানুষ আল্লাহ্ সম্বন্ধে বাক-বিতণ্ডা করে এমনই যে, তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে বিবেক, না কোন সমুজ্জ্বল কিতাব।
এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘সেটার অনুসরণ করো, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন!’ তখন বলে, ‘বরং আমরা তো সেটার অনুসরণ করবো, যার উপর আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছি’। যদিও শয়তান তাদেরকে দোযখের শাস্তির দিকে আহবান করে থাকে, তবুও?
এবং যে কেউ আপন মুখমণ্ডলকে আল্লাহ্র দিকে অবনত করে দেয় এবং হয় সৎকর্মপরায়ণগণ, তবে সে নিশ্চয় এক মজবুত গ্রন্থি দৃঢ়ভাবে ধারণ করেছে এবং আল্লাহ্রই দিকে হচ্ছে সব কাজের শেষ পরিণতি।
এবং যে কেউ কুফর করে, তবে আপনি তার কুফরের কারণে দুঃখিত হবেন না। তাদেরকে আমারই দিকে ফিরে যেতে হবে অতঃপর আমি তাদেরকে বলে দেবো যা তারা করতো। নিশ্চয় আল্লাহ্ অন্তরগুলোর কথা জানেন।
এবং আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কে সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীন?’ তবে অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ্’। আপনি বলুন, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য’। বরং তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক জানে না।
এবং যদি পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে সবই কলম হয়ে যায় আর সমুদ্র তার কালি হয়, এরপর আরো সাতটি সমুদ্র, তবুও আল্লাহ্র বাণীসমূহ নিঃশেষ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সম্মান ও প্রজ্ঞাময়।
ওহে শ্রোতা! তুমি কি দেখো নি যে, আল্লাহ্ রাতকে আনেন দিনের অংশে এবং দিনকে করেন রাতের অংশে। এবং তিনি সূর্য ও চাঁদকে কাজে নিয়োজিত করেছেন? প্রত্যেকটি একেকটি নির্ধারিত মেয়াদ কাল পর্যন্ত বিচরণ করে। এবং এই যে, আল্লাহ্ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অবহিত রয়েছেন।
তুমি কি দেখো নি যে, নৌযান সমুদ্রে বিচরণ করে আল্লাহ্র অনুগ্রহে, যাতে তিনি তোমাদেরকে আপন কিছু নিদর্শন দেখান? নিশ্চয় তাতে নিদর্শনাদি রয়েছে প্রত্যেক বড় ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞদের জন্য।
এবং যখন তাদের উপর এসে পড়ে কোন ঢেউ পর্বতমালার মতো, তখন আল্লাহ্কে ডাকে শুধু তারই উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে। অতঃপর যখন তাদেরকে স্থলের দিকে রক্ষা করে নিয়ে আসেন, তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরল পথে থাকে। আর আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করবে কেবল প্রত্যেক চরম বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিই।
হে লোকেরা! আপন রবকে ভয় করো এবং ওই দিনকে ভয় করো, যেদিন কোন পিতা আপন সন্তানের উপকারে আসবে না এবং না কোন উপযুক্ত সন্তান তার পিতার কোন উপকারে আসবে। নিশ্চয় আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। সুতরাং তোমাদেরকে যেন কিছুতেই প্রতারিত না করে পার্থিব জীবন। এবং কিছুতেই যেন তোমাদেরকে আল্লাহ্র সহনশীলতার সুবাদে প্রবঞ্চিত না করে ওই বড় প্রবঞ্চক।
নিশ্চয় আল্লাহ্র নিকট রয়েছে ক্বিয়ামতের জ্ঞান ও বর্ষণ করেন বৃষ্টি এবং জানেন যা কিছু ময়দানের গর্ভের রয়েছে, আর কেউ জানে না কাল কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন ভূ-খণ্ডে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞাতা, সব বিষয়ে খবরদাতা।