হে ঈমানদারগণ! নিজেদের কন্ঠস্বরকে উচু করো না ওই অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী)- এর কন্ঠস্বরের উপর এবং তার সামনে চিৎকার করে কথা বলো না যেভাবে পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো যেন কখনো তোমাদের কর্মসমূহ নিষ্ফল না হয়ে যায় আর তোমাদের খবর থাকবে না।
নিশ্চয় ওই সমস্ত লোক, যারা আপন কন্ঠস্বরকে নিচুর রাখে আল্লাহ্র রসূলের নিকট, তারা হচ্ছে ওই সব লোক, যাদের অন্তরকে আল্লাহ্খোদাভীরূতার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে।
হে ঈমানদারগণ! যদি কোন ফাসিক্ব তোমাদের নিকট কোন সংবাদ আনে, তবে তা যাচাই করে নাও যাতে কোথাও কোন সম্প্রদায়কে অজানাবশতঃ কষ্ট না দিয়ে বসো; অতঃপর আপন কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করতে থাকবে।
এবং জেনে রেখো যে, তোমাদের মধ্যে আল্লাহ্র রসূল রয়েছেন। অনেক বিষয়ে যদি তিনি তোমাদেরকে খুশী করেন, তবে তোমরা অবশ্যই কষ্টে পড়বে; কিন্তু আল্লাহ্ তোমাদের নিকট প্রিয় করে দিয়েছেন এবং সেটাকে তোমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দিয়েছেন আর কুফর ও নির্দেশ অমান্য করা এবং অবাধ্যতাকে তোমাদের নিকট অপছন্দীয় করে দিয়েছেন। এমন লোকেরাই সৎপথে রয়েছে;
এবং যদি মুসলামানদের দু’টি দল পরস্পর যুদ্ধ করে, তবে তাদের মধ্যে সন্ধি করাও। অতঃপর যদি একে অপরের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তবে ওই সীমালঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যতক্ষণ না তারা আল্লাহ্র নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। অতঃপর যদি তারা ফিরে আসে, তবে তাদের মধ্যে ন্যায়ের সাথে সংশোধন করে দাও এবং সুবিচার করো। নিশ্চয় সুবিচারকগণ আল্লাহ্র প্রিয়।
হে ঈমানদারগণ! না পুরুষ পুরুষদেরকে বিদ্রূপ করবে; এটা বিচিত্র নয় যে, তারা ওই বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম হবে; এবং না নারীগণ নারীদেরকে (বিদ্রূপ করবে); এটাও বিচিত্র নয় যে, তারা এই বিদ্রূপকারীনীদের অপেক্ষা উত্তম হবে। এবং তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না আর একে অপরের মন্দ নাম রেখো না। কতই মন্দ নাম-মুসলমান হয়ে ‘ফাসিক্ব’বলানো! এবংযারাতাওবাকরেনা, তবেতারাইযালিম।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান পাপ হয়ে যায় এবং দোষ তালাশ করো না আর একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ এ কথা পছন্দ করবে যে, যে আপন মৃত ভাইয়ের গোশ্ত ভক্ষণ করবে? বস্তুত; এটা তোমাদের নিকট পছন্দীয় হবে না। এবং আল্লাহ্কে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ্ খুব তাওবা ক্ববূলকারী, দয়ালু।
হে মানবকূল! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে শাখা-প্রশাখা ও গোত্র-গোত্র করেছি, যাতে পরস্পরের মধ্যে পরিচয় রাখতে পারো। নিশ্চয় আল্লাহ্র নিকট তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সেই, যে তোমাদের মধ্যে অধিক খোদাভীরু। নিশ্চয় আল্লাহ্ জানেন, খবর রাখেন।
মরুবাসীরা বললো, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। (হে হাবীব!) আপনি বলুন, ‘তোমরা ঈমানতো আনোনি। হাঁ, এমনই বলো, ‘আমরা অনুগত হয়েছি’। এবং এখন ঈমান তোমাদের অন্তরগুলোতে কোথায় প্রবেশ করেছে? এবং যদি তোমরা আল্লাহ্ ও তার রসূলের আনুগত্য করো, তবে তোমাদের কোন কর্মেরই কোন অংশ তোমাদেরকে কম দেবেন না, নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
ঈমানদারগণ তো তারাই, যারা আল্লাহ্ ও তার রসূলের উপর ঈমান এনেছে অতঃপর সন্দেহ করে নি এবং আপন প্রাণ ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করেছে। তারাই সত্যবাদী।
আপনি বলুন! ‘তোমরা কি আল্লাহ্কে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে অবহিত করছো?’ এবং আল্লাহ্ জানেন যা কিছু আস্মানসমূহেও যা কিছু যমীনে রয়েছে আর আল্লাহ্ সব কিছু জানেন।
হে মাহবূব! তারা আপনাকে খোটা দিচ্ছে এ বলে যে, তারা মুসলমান হয়ে গেছে। আপনি বলুন, ‘তোমাদের ইসলাম গ্রহণ আমাকে ধন্য করেছে মনে করো না; বরং আল্লাহ্ তোমাদেরকে ধন্য করেছেন যে, তিনি তোমাদেরকে ইসলামের দিকে পরিচালিত করেছেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।