যে দিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী আপন দুগ্ধপায়ী শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে আর তুমি মানুষকে দেখবে যেন নেশাগ্রস্ত; অথচ তারা নেশাগ্রস্ত থাকবে না কিন্তু ঘটনা এই যে, আল্লাহ্র মার কঠিন।
হে মানবকূল! যদি ক্বিয়ামত দিবসে জীবিত হওয়া সম্বন্ধে তোমাদের কোন সংশয় থাকে, তবে এ কথা গভীরভাবে চিন্তা করো যে, আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, অতঃপর জলবিন্দু থেকে, এরপর রক্তের জমাট থেকে; অতঃপর মাংসপিণ্ড থেকে, গঠিত ও অগঠিত আকৃতি, যাতে আমি তোমাদের জন্য আমার নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করে দিই এবং আমি স্থির রাখি মাতৃগর্ভে যাকে ইচ্ছা, একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত, অতঃপর তোমাদেরকে বের করি শিশুরূপে; অতঃপর এ জন্য যে, তোমরা আপন যৌবনে উপনীত হবে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ পূর্বেই মরে যায়, আর কাউকে সর্বাপেক্ষা হীনতম বয়সে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে জানার পর কিছুই না জানে। এবং তুমি যমীনকে দেখছো বিশুষ্ক, অতঃপর যখন আমি সেটার উপর বারি বর্ষণ করেছি তখন তা তরুতাজা হয়ে গেলো ও স্ফীত হয়ে এলো এবং প্রত্যেক প্রকার শোভাময় জোড়া উদগত করে আনলো।
সত্য থেকে আপন ঘাড় বাঁকা করে, যাতে আল্লাহ্র পথ থেকে ভ্রষ্ট করে দেয়। তার জন্য পৃথিবীতে লাঞ্ছনা রয়েছে এবং ক্বিয়ামত দিবসে আমি তাকে আগুনের শাস্তি আস্বাদ করাবো।
এবং কিছু লোক আল্লাহ্র ইবাদত এক দিক (দ্বিধা-দ্বন্দ্ব)-এর উপর করে; অতঃপর যদি কোন কল্যাণ হয়ে যায়, তবে সে শান্তি লাভ করে এবং যদি কোন পরীক্ষা এসে পড়ে, তবে আপন মুখমণ্ডলের উপর ভয় করে ফিরে যায়। দুনিয়া ও আখিরাতে উভয়েরই ক্ষতি; এটাই হচ্ছে সুস্পষ্ট ক্ষতি।
যে এ কথা মনে করে যে, আল্লাহ্ আপন নবীর সাহায্য করবেন না-দুনিয়ায় ও আখিরাতে; তার উচিত যেন উপরের দিকে একটা রজ্জু টানে, অতঃপর সে নিজেকে ফাসি দিয়ে দেয়, এরপর দেখে নেয় যে, তার এ চক্রান্ত কিছুমাত্র দূর করেছে কিনা ওই কথাকে যার প্রদাহ তার মধ্যে রয়েছে।
নিশ্চয় মুসলমান, ইহুদী, নক্ষত্রপূজারী, খৃষ্টান, অগ্নিপূজারী এবং মুশরিক; নিশ্চয় আল্লাহ্ তাদের সবার মধ্যে ক্বিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দেবেন। নিশ্চয় প্রত্যেক কিছু আল্লাহ্র সম্মুখে রয়েছে।
আপনি কী দেখেন নি যে, আল্লাহ্র জন্য সাজদা করে যা কিছু আসমানসমূহে ও যমীনে রয়েছে এবং সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্ররাজি, পর্বতমালা, গাছপালা, চতুষ্পদ জন্তু এবং অনেক মানুষ। আর অনেকে এমন রয়েছে, যাদের উপর শাস্তি অবধারিত হয়েছে; আর যাকে আল্লাহ্ হেয় করেন তাকে কেউ সম্মানদাতা নেই; নিশ্চয় আল্লাহ্ যা চান তাই করেন।
এরা দু’টি দল, যারা তাদের রব সম্বন্ধে বিতর্ক করেছে; সুতরাং যারা কাফির হয়েছে তাদের জন্য আগুনের কাপড় কর্তন (প্রস্তুত) করা হয়েছে এবং তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে।
নিশ্চয় আল্লাহ্ দাখিল করবেন তাদেরকে, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, বেহেশতসমূহে যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান; তাতে পরানোহবে স্বর্ণের কঙ্কণ ও মুক্তা; এবং সেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের।
নিশ্চয় ওই সব লোক যারা কুফর করেছে এবং নিবৃত্ত রাখে আল্লাহ্র পথ ও ওই সম্মানিত মসজিদ থেকে, যাকে আমি সমস্ত কাজের জন্য স্থির করেছি যে, তাতে সমান অধিকার রয়েছে সেখানকার অধিবাসী ও বহিরাগতদের জন্য। আর যে কেউ তাতে যে কোন সীমালঙ্ঘনের অসৎ ইচ্ছা করে, আমি তাকে মর্মন্তুদ শাস্তি আস্বাদন করাবো।
এবং যখন আমি ইব্রাহীমকে ওই ঘরের ঠিকানা সঠিকভাবে বলে দিয়েছি এবং নির্দেশ দিয়েছি আমার কোন শরীক স্থির করো না আর আমার ঘরকে পবিত্র রাখো তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী ও রুকূ-সাজদাকারীদের জন্য।
এবং মানুষের মধ্যে হজ্জের সাধারণ ঘোষণা করে দাও; তারা তোমার নিকট উপস্থিত হবে পদব্রজে ও প্রত্যেক ক্ষীণকায় উট্নীর পিঠে করে, যা দূর-দূরান্তরের পথ থেকে আসে,
যাতে তারা আপন আপন উপকার পায় এবং আল্লাহ্র নাম নেয় জ্ঞাত দিনগুলোতে এর উপর যে, তাদেরকে জীবনোপকরণরূপে প্রদান করেছেন বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ জন্তু। অতঃপর তা থেকে তোমরা আহার করো এবং বিপদ্গ্রস্ত দরিদ্রকে আহার করাও।
কথা হচ্ছে এই এবং যে কেউ আল্লাহ্র সম্মানিত বস্তুগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তবে তা তার জন্য তার রবের নিকট উত্তম; এবং তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ জন্তুগুলো, ওইগুলো ব্যতীত যেগুলোর নিষেধ তোমাদেরকে পাঠ করে শুনানো হয়; সুতরাং দূরে থাকো মূর্তিগুলোর অপবিত্রতা থেকে এবং বেচে থাকো মিথ্যা কথা থেকে,
এক আল্লাহ্র হয়ে; তার সাথে অন্য কাউকেও স্থির করো না; এবং যে কেউ আল্লাহ্র শরীক করে সে যেন পতিত হলো আসমান থেকে, অতঃপর পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে যায় অথবা বায়ু তাকে অন্যত্র নিক্ষেপ করে।
এবং প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি একটা ক্বোরবানী নির্ধারিত করেছি যেন তারা আল্লাহ্র নামে নেয় তার প্রদত্ত বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ পশুগুলোর উপর; অতএব, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্যই;সুতরাং তারই সম্মুখে আত্নসমর্পণ করো; এবং হে মাহবূব! সুসংবাদ শুনিয়ে দিন সেই বিনীত লোকদেরকে-
(যারা এমন সব লোক) যে, যখন আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা হয় তখন তাদের হৃদয় ভয়কম্পিত হতে থাকে এবং কোন বিপদাপদ এসে পড়ে তা সহ্যকারী ও নামায প্রতিষ্ঠাকারী; এবং আমার প্রদত্ত সম্পদ থেকে ব্যয় করে।
এবং ক্বোরবানীর মোটাতাজা পশু উট ও গাভীকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের অন্যতম করেছি। তোমাদের জন্য সেগুলোর মধ্যে কল্যাণ রয়েছে; সুতরাং সেগুলোর উপর আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করো এক পা বাধা, তিন পায়ে দণ্ডায়মান (অবস্থায়); অতঃপর যখন সেগুলোর পার্শদেশ পড়ে যায় তখন সেগুলো থেকে নিজেরা আহার করো এবং ধৈর্য সহকারে উপবিষ্ট ও ভিক্ষুকদের আহার করাও। এভাবেই আমি সেগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছি, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার করো।
আল্লাহ্র নিকট কখনো না সেগুলোর মাংস পৌছে, না সেগুলোর রক্ত; হাঁ, তোমাদের খোদাভীরুতা তার নিকট পর্যন্ত পৌছে থাকে; এভাবেই আমি সেগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছি, যাতে তোমরা আল্লাহ্র মহত্ব ঘোষণা করো এর উপর যে, তিনি তোমাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করেছেন; এবং হে মাহবূব! সুসংবাদ শুনান সৎকর্মপরায়ণদেরকে।
অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদেরকে, যাদের বিরুদ্ধে কাফিরগণ যুদ্ধ করে এতদ্ভিত্তিক যে, তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে এবং নিশ্চয় আল্লাহ্ তাদের সাহায্য করার উপর অবশ্যই শক্তিমান।
ওই সব লোক, যাদেরকে আপন ঘর বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে শুধু এতটুকু কথার উপর যে, তারা বলেছে, ‘আমাদের রব আল্লাহ্! এবং আল্লাহ্ যদি মানুষের মধ্যে এককে অপর দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে অবশ্যই ভূমিস্যাৎ করে দেওয়া হতো খানকাসমূহ, গীর্জা, উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহকে, যেগুলোতে আল্লাহ্র নাম ব্যাপকভাবে নেওয়া হয় এবং নিশ্চয় নিশ্চয় আল্লাহ্ সাহায্য করবেন তারই, যে তার দ্বীনের সাহায্য করবে, নিশ্চয় নিশ্চয় আল্লাহ্ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
ওই সব লোক যে, যদি আমি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করি, তবে তারা নামায ক্বায়েম রাখবে, যাকাত দেবে, সৎকর্মের নির্দেশ দেবে এবং অসৎকর্ম থেকে বিরত রাখবে; এবং আল্লাহ্রই জন্য সমস্ত কর্মের পরিণাম।
এবং কতো বস্তিই আমি ধ্বংস করে দিয়েছি যেহেতু তারা যালিম ছিলো। সুতরাং এখন সেগুলো আপন ছাদগুলোর উপর ধ্বসে পড়েছে এবং কতো কূপ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে আর কত পলস্তরাকৃত প্রাসাদও।
তবে কি তারা ভূ-পৃষ্ঠে ভ্রমণ করে নি? তাহলে তাদের থাকতো অন্তর, যেগুলো দ্বারা তারা বুঝতো, অথবা থাকতো কান, যেগুলো দ্বারা শুনতো। তবে (ব্যাপার) এ যে, চোখগুলো অন্ধ হয় না, বরং ওই সমস্ত অন্তর অন্ধ হয়, যেগুলো বক্ষসমূহে রয়েছে।
এবং এরা আপনার নিকট শাস্তি চাওয়ার ব্যাপারে ত্বরা করছে আর আল্লাহ্ কখনো আপন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না; এবং নিশ্চয় আপনার রবের নিকট একটি দিন এমন রয়েছে, যেমন তোমাদের গণনার মধ্যে হাজার বছর।
এবং আমি আপনার পূর্বে যতো রসুল কিংবা নবী প্রেরণ করেছি সবার উপরও এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যে, যখনই তারা পাঠ করেছে, তখন শয়তান তাদের পড়ার মধ্যে মানুষের উপর কিছু নিজ থেকে সংযোজন করে দিয়েছে; অতঃপর মুছে দেন আল্লাহ্ ওই শয়তানের সংযোজিত অংশটুকু অতঃপর আল্লাহ্ আপন আয়াতসমূহ মজবুত করে দেন; এবং আল্লাহ্ জ্ঞানবান, প্রজ্ঞাময়।
এবং এ জন্য যে, জানতে পারে ওই সব লোকও, যারা জ্ঞান লাভ করেছে যে, তা আপনার রবের নিকট থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন সেটার উপর ঈমান আনে, অতঃপর সেটার জন্য ঝুকে যায় তাদের অন্তরসমূহ; এবং নিশ্চয় আল্লাহ্ ঈমানদারদেরকে সরল পথে পরিচালনাকারী।
এবং কাফিরগণ তাতে সর্বদা সন্দেহের মধ্যে থাকবে, যতক্ষণ না তাদের উপর ক্বিয়ামত এসে পড়বে আকস্মিকভাবে, অথবা তাদের উপর এমন দিনের শাস্তি এসে পড়বে, যার ফল তাদের জন্য মোটেই ভালো হবে না।
এবং ওই সব লোক যারা আল্লাহ্র পথে আপন ঘরবাড়ী ছেড়েছে অতঃপর নিহত হয়েছে অথবা মারা গেছে, তবে আল্লাহ্ অবশ্যই তাদেরকে উৎকৃষ্ট জীবিকা দান করবেন এবং নিশ্চয় আল্লাহ্র (প্রদত্ত) জীবিকা সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট।
কথা হচ্ছে এই যে প্রতিশোধ গ্রহণ করে যেমনি কষ্ট দেওয়া হয়েছিলো, অতঃপর তার প্রতি অত্যাচার করা হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করবেন; নিশ্চয় আল্লাহ্ পাপ মোচনকারী; ক্ষমাশীল।
তুমি কি লক্ষ্য করো নি যে, আল্লাহ্ তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে এবং নৌযানসমূহ, সেগুলো সমুদ্রে তার নির্দেশে বিচরণ করে এবং তিনি স্থির রেখেছেন আসমানকে, যাতে পৃথিবীর উপর আপতিত না হয়, তার নির্দেশ ব্যতীত। নিশ্চয় আল্লাহ্ মানুষের প্রতি বড় দয়ার্দ্র, দয়ালু।
প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি ইবাদত পদ্ধতি তৈরী করে দিয়েছি; যাতে তারা সেটার অনুসরণ করে; অতঃপর তারা কখনো যেন আপনার সাথে এ ব্যাপারে বিতর্ক না করে আর আপন রবের দিকে আহ্বান করো নিশ্চয় আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত।
এবং তারা আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কিছুর পূজা করে, যার কোন দলীল তিনি অবতীর্ণ করেন নি, এবং এমন কিছুকেও, যেগুলো সম্বন্ধে নিজেদেরও কোন জ্ঞান নেই; আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
এবং যখন তাদের সম্মুখে আমার সমুজ্জ্বল আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন আপনি তাদের চেহারায় অসন্তোষের লক্ষণ দেখতে পাবেন, যারা কুফর করেছে। এ কথা সন্নিকটে যে, তারা আক্রমণ করবে ওই সব লোককে, যারা আমার আয়াতসমূহ তাদের সম্মুখে পাঠ করে। আপনি বলে দিন, ‘তবে কি আমি বলে দেবো যা তোমাদের এ অবস্থা থেকেও মন্দতর? তা হচ্ছে আগুন! আল্লাহ্ সেটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কাফিরদেরকে এবং প্রত্যাবর্তনের কেমনই মন্দ জায়গা!
হে মানবকূল! একটা উপমা দেওয়া হচ্ছে, সেটাকান লাগিয়ে শুনো ওইগুলোর, যেগুলোর তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত পূজা করছো, একটা মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না যদিও তারা সবাই এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে যায়; এবং যদি মাছি তাদের নিকট থেকে কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায় তবে তাও সেটার নিকট থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। কতই দুর্বল প্রার্থনাকারী এবং সেও, যার নিকট প্রার্থনা করেছে!
এবং আল্লাহ্র পথে জিহাদ করো যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন এবং তোমাদের উপর দ্বীনের ব্যাপারে কোন সংকীর্ণতা রাখেন নি; তোমাদের পিতা ইব্রাহীম এর দ্বীন; আল্লাহ্ তোমাদের নাম ‘মুসলমান’ রেখেছেন পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে এবং এ ক্বোরআনে, যাতে রসূল তোমাদের রক্ষক ও সাক্ষী হন এবং তোমরা অন্যান্য লোকদের উপর সাক্ষ্য দাও। সুতরাং নামায ক্বায়েম রাখো, যাকাত প্রদান করো এবং আল্লাহ্র রজ্জুকে শক্তভাবে আকড়ে ধরো। তিনি তোমাদের অভিভাবক এবং কতই উত্তম সাহায্যকারী!