যখন মুনাফিকরা আপনার সম্মুখে হাযির হয় তখন বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হুযূর নিশ্চয় নিশ্চয় আল্লাহর রসূল এবং আল্লাহ্ জানেন যে, আপনি তার রসূল। আর আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফ্বিকগণ অবশ্যই মিথ্যুক।
এবং যখন তুমি তাদেরকে দেখো, তাদের শরীর তোমার ভালো মনে হবে এবং যদি তার কথা বলে, তবে তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনো। (তখন মনে হবে) যেন তারা প্রাচীরে ঠেকানো কতগুলো কাঠের স্তম্ভ। তারা প্রত্যেক উচ্চবাচ্যকে নিজেদের উপর টেনে নেয়। তারা শত্রু। সুতরাং তাদের থেকে বাচতে থাকো। আল্লাহ্ তাদেরকে বিনাশ করুন! ওরা উল্টো দিকে কোথায় যাচ্ছে।
এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘এসো! আল্লাহর রসূল তোমাদের ক্ষমার জন্য প্রার্থনা করবেন’। তখন নিজেদের মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং আপনি তাদেরকে দেখবেন যে, তারা অহঙ্কার করে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
তাদের জন্য এক সমান- আপনি তাদের জন্য ক্ষ৯মা প্রার্থনা করুন অথবা নাই করুন, আল্লাহ্ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ্ ফাসিক্বদেরকে সৎপথ প্রদান করেন না।
তারাই, যারা বলে, ‘তাদের জন্য ব্যয় করো না, যারা রসূলের নিকট রয়েছে, যতক্ষণ না, তারা পেরেশান হয়ে যায়’। এবং আল্লাহরই আসমানসমূহ ও যমীনের ধন-ভাণ্ডারসমূহ; কিন্তু মুনাফিক্বদের বোধশক্তি নেই।
তারা বলে, ‘আমরা মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে অবশ্য যে বড় সম্মানিত সে সেখান থেকে তাকেই বের করে দেবে, যে অত্যন্ত লাঞ্ছিত। আর সম্মান তো আল্লাহ্, তার রসূল ও মু’মিনদের জন্যই; কিন্তু মুনাফিক্বদের নিকট খবর নেই।
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ, না তোমাদের সন্তান-সন্ততি কোন কিছুই যেন তোমাদেরকে আল্লাহ্র স্মরণ থেকে উদাসীন না করে; এবং যে কেউ তেমন করে,তবে ওই সমস্ত লোক ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।
এবং আমার প্রদত্ত (রিযক্ব) থেকে কিছু আমার পথে ব্যয় করো এর পূর্বে যে, তোমাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু এসে পড়বে। অতঃপর বলতে থাকবে, ‘হে আমার রব! তুমি আমাকে কিছু সময়ের জন্য কেন অবকাশ দিলে না? যাতে আমি দান-সাদক্বাহ করতাম এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম!